পর্তুগালে করোনাভাইরাসের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে আগামী সোমবার (১৬ মার্চ) থেকে পর্তুগালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ ও প্রাথমিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) রাতে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক বিবৃতিতে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত পর্তুগালের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানান।
এর একদিন পর শুক্রবার (১৩ মার্চ) পর্তুগালের স্বরাষ্ট্র এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী একত্রিতভাবে পর্তুগিজ নাগরিকদের সুরক্ষার উদ্দেশ্য দেওয়া আরেক বিবৃতিতে জানান, পর্তুগালের নাগরিকদের পরিসেবা শক্তিশালীকরণ এবং নিরাপদ বজায় রাখা বিষয়ে প্রাথমিকভাবে ১৫ দিনের জন্য পর্তুগালে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেন। এই জরুরি অবস্থাতে পর্তুগালের সকল নাইট ক্লাব এবং এই জাতীয় সকল প্রতিষ্ঠান গুলোতে সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। পর্তুগালের নাগরিক ব্যতীত পর্তুগালে আসা সকল প্রকার ক্রুজের যাত্রী ও নাবিকদের জাহাজ থেকে স্থলে নামা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার শহর গুলোর নাগরিকদের সুরক্ষার উদ্দেশ্য সেখানকার শপিং সেন্টার, জিম, গ্রন্থাগার, সিনেমাহল সমূহ বন্ধ রাখা, জনবহুল জায়গা বা অন্য কোথাও অযথা ঘোরাফেরা না করতে বলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টায় পর্তুগালের স্বাস্থ্য অধিদফতর-জেনারেল ফর হেলথ (ডিজিএস) এর তথ্যে মতে, বর্তমানে পর্তুগালে ১১২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও ১৩০৮ সন্দেহভাজন সহ ৫৬৭৪ জনকে পর্তুগালের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ