কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আজ সোমবার পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে ইতালি। দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৪৭৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ১৩৮ জন। ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার অবস্থা বেশি করুণ। লকডাউনে থাকা দেশটির সেনাবাহিনী করোনা প্রতিরোধে কাজ করছে। তবুও প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু।
এমন পরিস্থিতিতে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করতে ইতালিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের একটি ব্রিগেড পাঠাচ্ছে কমিউনিস্টশাসিত কিউবা।
দেশটি জানিয়েছে, ইতালির অনুরোধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সের একটি ব্রিগেড রওনা হয়ে গেছে। করোনায় জর্জরিত ইতালির লমবার্দি অঞ্চলে কাজ করবে তারা।
১৯৫৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর থেকেই বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোর দুর্যোগ মোকাবেলায় কমিউনিস্টশাসিত কিউবা প্রায়ই তাদের ‘সাদা পোশাকের বাহিনী’ পাঠিয়ে আসছে।
এর আগে হাইতিতে কলেরা এবং পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার বিরুদ্ধে লড়াইয়েও দেশটির চিকিৎসকরা সামনের কাতারে ছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের মতে, এবারই প্রথম কিউবা বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ ইতালিতে ৫২ সদস্যের শক্তিশালী একটি দল পাঠাচ্ছে; যার মাধ্যমে দেশটি তাদের ‘চিকিৎসা কূটনীতির’ বড় ধরনের নজিরও স্থাপন করতে যাচ্ছে। নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় এ নিয়ে কিউবার ষষ্ঠ মেডিকেল ব্রিগেড অন্য কোনো দেশের উদ্দেশে রওনা হলো। দেশটি এর আগে তাদের সমাজতান্ত্রিক মিত্র ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়ার পাশাপাশি জ্যামাইকা, সুরিনাম ও গ্রেনাদাতেও চিকিৎসকদল পাঠিয়েছে।
শনিবার ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে চিকিৎসকদলের সদস্য ৬৮ বছর বয়সী লিওনার্দো ফার্নান্দেজ বলেন, ‘আমরা সবাই বেশ ভীত, কিন্তু আমাদের বিপ্লবী দায়িত্ব আছে, তাই আমরা আমাদের ভয়কে একপাশে সরিয়ে রেখেছি।’
দুর্যোগ প্রস্তুতিতে বিশ্বখ্যাত কমিউনিস্ট এ রাষ্ট্রটি নিজেদের ভূখণ্ডে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায়ও নানান পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৫ জনের কভিড-১৯ আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম