বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে করোনা চিকিৎসায় ২ সপ্তাহ আগে পৃথক করোনা ইউনিট চালু করা হলেও এখন পর্যন্ত করোনা সনাক্তকরণের কিট আসেনি। এ কারণে পদ্মার পশ্চিম তীরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের করোনা পরীক্ষার কোন ব্যবস্থা নেই শের-ই বাংলা মেডিকেলসহ বিভাগের অন্যান্য জেলা হাসপাতালে। অপরদিকে এখন পর্যন্ত শের-ই বাংলাসহ অন্যান্য জেলা হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও নার্সসহ অন্যান্যদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামাদী (পিপিই) দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পিপিই না পাওয়ায় রোগীদের সেবা দিতে অনীহা প্রকাশ করছেন অনেক চিকিৎসক।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিকেলে করোনা সনাক্তকরনের কোন কিট আসেনি। তবে করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের উপসর্গ দেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। জ্বর, সর্দি-কাশি রোগীদের জন্য হাসপাতালের নতুন ভবনে পৃথক একটি ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে বলে জানান পরিচালক।
তিনি আরও জানান, আপাতত আইসল্যুশন ওয়ার্ডে কর্মরতদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা (পিপিই) সরঞ্জামাদী দেওয়া হয়েছে। সব ওয়ার্ডেই এই মুহূর্তে পিপিই প্রয়োজন নেই। তারপরও পর্যায়ক্রমে সকল চিকিৎসক ও নার্সদের মাঝে পিপিই বিতরনের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে বিভাগের কোন জেলা হাসপাতাল কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও নেই করোনা সনাক্তকরণের কোন কিট। তাই এই মুহূর্তে কোন সন্দেহজনক রোগী আসলে তাদের বিষয়টি কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় এবং একই সাথে উপসর্গসহ পেছনের ইতিহাস শুনে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
বরিশালেই করোনা সনাক্তকরনের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেলে একটি ল্যাব স্থাপন করা এবং সনাক্তকরণের কিটের জন্য স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করার কথা জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক। এখন পর্যন্ত বরিশালে কোন করোনা রোগী সনাক্ত না হলেও পর্যায়ক্রমে সকল চিকিৎসক ও নার্স সহ অন্যান্যদের মাঝে পিপিই সরবরাহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় এই শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
চলতি মাসে বরিশালের ১০ হাজারের বেশী প্রবাসী দেশে ফিরলেও সোমবার পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত হয়েছে ১ হাজার ৯শ ৯৪ জনের। এছাড়া বরিশাল বিভাগে ২৮৬ জনের হোম কোয়ারেন্টান শেষ হয়েছে। আরও প্রায় ৮ হাজার প্রবাসীকে খুঁজে পাচ্ছে না সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল