করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় ১১টি পণ্যের চাহিদা প্রেরণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) বরাবরে এ চিঠি পাঠান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে জেনারেল হাসপাতালে কিছু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পণ্য আছে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও বর্ধিত রোগীর কথা বিবেচনায় আরো কিছু পণ্যের চাহিদা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে গগলস্ ৪ হাজার পিস, স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সামগ্রী (পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট-পিপিই) ৪ হাজার পিস, বায়োহ্যাজার্ড ব্যাগ এক হাজার পিস, ফেস মাস্ক ১০ হাজার পিস, ফেস শেল্ড ডিসপোসেজল ৪ হাজার পিস, অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার ৩ হাজার পিস, জুতার কভার ৪ হাজার পিস, অ্যান্ট্রিমাইক্রোবায়োল হ্যান্ডরাব সলিউশন ৫ হাজার পিস, সার্জিক্যাল গ্লাবস (ছোট-মাঝারি) ৫ হাজার পিস, ক্লোরোহেক্সিডাইন সেন্ট্রিমাইড সলিউশন ১০০ লিটার ও কভারেড বিন ১০০ পিস।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ বলেন, ‘আমাদের কাছে বর্তমানে কিছু সামগ্রী আছে। তবে আরো কিছু প্রয়োজন। তাই এসব পণ্য চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়নি। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। তবে বিভিন্ন উপজেলার বিদেশ ফেরতরা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছে না। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে ১৪ জনকে জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও)। অন্যদিকে, চসিকের উদ্যোগে গঠিত হয় ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর আহবায়ক এবং স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কমিটি পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সর্দি, কাশি ও গায়ের জ্বর হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে এসব রোগীদের মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে (কখন আসছেন, কোথায় ছিলেন) তাদের ইতিহাস লিখে নন-ক্রিটিক্যাল হলে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো এবং তাদের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংরক্ষণ রাখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার