বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২জন রোগীর দেহে প্রথমবারের মতো করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। রবিবার সন্ধ্যায় ওই দুই রোগীর পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ায় পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান জানান, এতদিন করোনামুক্ত ছিলো বরিশাল। আজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট পাওয়ার পর বরিশালের জনগণকে করোনা সংক্রামন থেকে বাঁচাতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন চলাকালে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি ও নির্দেশ যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে ৫জন চিকিৎসাধীন ছিলো। এদের মধ্যে ওই দুইজন রোগীর করোনা পজেটিভ।
তাদের মধ্যে মেহেন্দিগঞ্জের আন্দারমানিক গ্রামের একজন নারায়নগঞ্জের একটি গার্মেন্টে চাকরি করতেন। তিনি কয়েকদিন আগে বাড়ি ফেরেন। নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন সন্দেহে স্থানীয়রা তাকে অনেকটা জোর করে গত বুধবার শের-ই বাংলা হাসাপতালে পাঠালে জরুরী বিভাগ থেকে তাকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।
করোনা রিপোর্ট পজেটিভ ২ জনের অপরজন একই জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গারহাটের বাসিন্দা। তিনি একই উপজেলার কলসকাঠী শাখায় একটি সরকারী ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মীর চাকুরী করেন। সব শেষ গত রবিবার অফিস করেন তিনি। গত ২ বছর ধরে শ্বাসকস্টের ডাক্তার দেখাচ্ছিলেন তিনি। গত বুধবার বাকেরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে গেলে সেখান থেকে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেলে এবং মেডিকেলের জরুরী বিভাগ থেকে তাকে করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ দাবি করেন তিনি।
শের-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন জানান, ওই দুই রোগীর নমুনা গতকাল শনিবার মেডিকেল কলেজের আরটি-করোনা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। আজ তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে বরিশালে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ার খবরে জেলা প্রশাসন সন্ধ্যায় এক গণবিজ্ঞপ্তিতে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করে। মহানগর (সিটি করপোরেশন এলাকা) ছাড়া জেলা লকডাউনে কোন সুফল আসবে না, তাই মহানগরসহ পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল