প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস রোধে এবার কক্সবাজার পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডকেই ‘রেড জোনে’র আওতায় আনা হয়েছে। আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে টানা ১৪ দিনের জন্য এই রেড জোনে কড়াভাবে ‘লকডাউন’ চলবে। ইতোমধ্যে রেড জোন সম্পর্কিত ৭টি নির্দেশিকা দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন। আগামী ২০ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত পৌর এলাকাজুড়ে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। এই সময়ে জেলা প্রশাসনের দেয়া সমস্ত নির্দেশনা মানতে হবে।
এবারের লকডাউনে অনেকটা কড়াকড়ি করছে প্রশাসন। আগের মতো প্রতিদিন সীমিত পরিসরে হলেও বাজার খোলা থাকছে না। শুধুমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলতে পারবে। এই সময়ে শুধু ওষুধের দোকান ছাড়া কোন ধরণের দোকান, মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে না। সব ধরণের ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। গণপরিবহন টার্মিনাল ‘রেড জোনে’র বাইরে স্থানান্তর করতে হবে। ১৪ দিনের এই লকডাউনে জরুরি সংবাদ সংগ্রহের কাজে সাংবাদিকদেরও কার্ড নিতে হবে।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ উল্লাহ মারুফ জানান, জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে কক্সবাজার পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সমগ্র পৌরসভাকে ‘রেড জোনে’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, এই মুহূর্তে গণবিজ্ঞপ্তি বলা যাচ্ছে না। রেড জোনে বিশেষ ব্যবস্থাপনা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. কামাল হোসেন রেড জোন সম্পর্কিত ৭ টি নির্দেশিকা দিয়েছেন।বিডি-প্রতিদিন/শফিক