কুড়িগ্রামে করোনা আক্রান্ত রোগী ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানিয়েছে, সার্বিকভাবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চলতি বছরে মার্চ মাসে ১৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলাফলে ১৯ জন পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৬ দিনে আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন। আর এপ্রিল মাসের প্রথম দিন ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আক্রান্ত পাওয়া যায়নি। ঢাকার আইইডিসিআরের নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি, রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরি, কুড়িগ্রামের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে স্থাপিত জিন এক্সপার্ট মেশিন এবং জেনারেল হাসপাতালে এন্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ৭ হাজার ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
তম্মধ্যে ১ হাজার ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ ফল এসেছে। গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ১৫ জন করোনায় মারা যান।তবে এবছর সংক্রমণ বাড়লেও এখন পর্যন্ত কেউ মারা যাননি।
এদিকে, ১ হাজার ১২ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন। অবশিষ্ট ৮ জন বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও সিভিল সার্জন সূত্র জানায়, জেলায় ৬০ হাজার ডোজ কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এসেছে। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৬১৩ জনকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে এখনও প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন ১৫ হাজার ৩৮৬ জন নেননি। এরই মধ্যে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে ২য় ডোজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে,করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিরোধে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। তবে এখনও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ওই দুটি প্রশাসন কাজ করছে কিন্তু অমান্যকারীদের এখনও জরিমানা কিংবা কোন শাস্তির আওতায় নেয়া হয়নি।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণপরিবহনে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন বাস স্টপেজ এবং সড়কে অভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য রুটে চলাচলকারী গণপরিবহনে অভিযান হিসেবে কঠোরভাবে সচেতন করা হচ্ছে।
শনিবার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এএইচএম বোরহানুল ইসলাম সিদ্দিকী জানান, এ জেলায় করোনা সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে অনুরোধ জানান।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর