বুধবার, ১৫ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রী হয়রানি

বেনাপোল প্রতিনিধি

কাস্টমস ব্যাগেজ রুল সম্পর্কে যাত্রী ও প্রসাশনের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকায় নানামুখী রিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা। ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশিদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন বিশেষ ঈদ প্যাকেজের। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ যাত্রী বেনাপোল দিয়ে ভারত যাতায়াত করেন। ভারত ফেরত এসব যাত্রীর শুধু বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে ৩৫ কিমি দূরে যশোর শহর পর্যন্ত যেতে মোকাবিলা করতে হচ্ছে ৯টি তল্লাশি কেন্দ্র। কাস্টমস তল্লাশি পার হয়ে চারবার করে বিজিবি-পুলিশের তল্লাশির মুখে পড়তে হচ্ছে পাসপোর্টযাত্রীদের।

বারবার তল্লাশির ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ভারত বেড়াতে যাওয়াই অনেকের কাছে পীড়াদায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন পাসপোর্টযাত্রী ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ফেরার পথে কত টাকার, কি পরিমাণ মাল আনতে পারবেন সে সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তাদের পদে পদে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। অতিরিক্ত মাল আনার অভিযোগে কাস্টমস ও বিজিবির হাতে প্রতিদিন আটক হচ্ছে শতাধিক যাত্রীর মালামাল। আটক মাল আগে ট্যাক্স পরিশোধ করে ছাড় নেওয়া গেলেও এখন বাড়তি যোগ হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র। অনেকে ছাড়পত্র সংগ্রহের অভাবে মালামাল নিতে পারছে না। একজন যাত্রী ভারতের পেট্রোপোল চেকপোস্টের কাস্টম ও বিএসএফ সদস্যদের হাত এড়িয়ে দেশে প্রবেশের পর প্রথমেই মুখোমুখি হতে হয় কাস্টম কর্তৃপক্ষের। শুনতে হয় এত মাল নেওয়া যাবে না, এ জাতীয় নানা কথা। তাদের ম্যানেজ করে গেটের বাইরে বের হলেই দাঁড়িয়ে থাকেন বিজিবি সদস্যরা। সন্দেহজনক ব্যাগ দেখলেই যাত্রীদের নেওয়া হয় ক্যাম্পে। বেনাপোল চেকপোস্টের এক কর্মকর্তা বলেন, কাস্টমস তল্লাশির পর বিজিবি যেটা করছে সেটা অন্যায়। এরপর বেনাপোল ছেড়ে আসার তিন কিমি. পর রয়েছে আমড়াখালি বিজিবির স্থায়ী চেকপোস্ট। প্রতিটি গাড়ির যাত্রীদের মাল এখানে চেক করা হয়। ভারত থেকে আসা ঢাকা মগবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, নিজের পকেটের টাকায় শাড়ি-থ্রিপিছ কিনে বিজিবি, পুলিশের কাছে চোর সাজতে হয়। সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শক জাতীয় সড়কে পরিবহন তল্লাশি বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হয়নি, বরং যশোরের পর দৌলতদিয়াঘাট পর্যন্ত কয়েক জায়গায় পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছর সড়কে দেখা যায় এ চিত্র।

সর্বশেষ খবর