সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

শেরপুর ডিসির বাসভবনের পুরাকীর্তি গেল কই

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুর শহরের আড়াইআনি জমিদারবাড়িতেই শেরপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবন। ১৯৩৭ সালে পরিত্যক্ত  জমিদারবাড়িতে প্রথমে সিও থাকতেন। পরে এসডিও। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের বাসভবন। তৎকালীন জমিদারের রেখে যাওয়া মূল্যবান বেশ কিছু পুরাকীর্তি তৈজসপত্র, ডাইনিং টেবিল, খাট ইত্যাদি জেলা প্রশাসকের বাসায় ছিল। তবে গত কয়েক বছরে এসব হাওয়া হয়ে গেছে। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের মধ্যে কানাঘুষা চললেও প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে রাজি নন। বর্তমান জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম বলেন, এ নিয়ে যত কম ঘাঁটাঘাঁটি করা যায় ততই ভালো। সরকারি এ বাসার মালামালের কোনো রেজিস্টার তিনি পাননি বলে জানান। অর্থের মূল্যে ব্যবহার্য এ জিনিসগুলোর দাম কত তা নিরূপণ করা কঠিন হলেও পুরাকীর্তিগুলো প্রাচীন ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক-বাহক। এক-দেড়শ বছর আগের নির্মিত জমিদারদের ব্যবহৃত জিনিসগুলো জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সৌন্দর্য ও অতীত স্মৃতি মনে করিয়ে দিত। এগুলো অতীতের জেলা প্রশাসকের বাসার বিভিন্ন পারিবারিক অনুষ্ঠানের ছবিতে এখনো দেখা যায়। হঠাৎ এ পুরাকীর্তিগুলো কোথায় গেল এমন প্রশ্ন কর্মচারীদের মনে দেখা দিলেও কেউ মুখ খুলতে চান না। একটি সূত্র জানায়, গত চার-পাঁচ বছরে এ মহামূল্যবান জিনিসগুলো সরানো হয়েছে। কে কখন কোথায় নিয়েছে কেউ বলতে পারে না। যিনিই এগুলো সরিয়েছেন তিনি রেজিস্টার গায়েব করে দিয়েছেন এমন কথা শোনা যায়। কর্মচারীদের আরেকটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, সরকারি টাকায় কেনা বেশ কিছু আসবাবপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি এ বাসভবনের মালপত্রের রেজিস্টারটি পাওয়া গেলেই সব প্রশ্নের জবাব মিলবে বলে অনেকের ধারণা।

সর্বশেষ খবর