মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০১৯ ০০:০০ টা

সেতু না থাকায় দুর্ভোগ ২০ গ্রামের মানুষের

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

সেতু না থাকায় দুর্ভোগ ২০ গ্রামের মানুষের

শরীয়তপুরের জাজিরায় ভেঙেপড়া সেতু - বাংলাদেশ প্রতিদিন

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের আলিবক্স মাদবরকান্দি গ্রাম। এ গ্রামের প্রধান সড়কে ছিল একটি পাকা সেতু। ওই সেতুর উপর দিয়ে যানবাহনসহ চলাচল করত চার ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ। পাঁচ বছর আগে পানির তোড়ে সেতুটি বিধ্বস্ত হয়। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দুই দফায় নির্মিত কাঠের সাঁকো দিয়ে কোনোভাবে চলছিল হেঁটে চলাচল। সাত তিন আগে সাঁকোটিও ভেঙে যাওয়ায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে চলাচল। সেতুটির অভাবে দুর্ভোগের শেষ নেই আশপাশের ২০ গ্রামের মানুষের। বড়কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম জানান, এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণের জন্য অনেক অনুরোধ করা হয়েছে। এলজিইডির সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে কাঠের পুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর জাজিরা উপজেলা প্রকৌশলী বিমলেন্দু রায় বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে কাঠের পুল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সে অনুযায়ী টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু ঠিকাদার কাজ করছে না। ৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদার কাজ শুরু না করলে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর জাজিরা উপজেলা কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা সদর থেকে পালেরচর বাজার আট কিলোমিটার ইটের সড়ক। যান চলাচলের সুবিধার্থে ওই সড়কের আলিবক্স মাদবরকান্দি গ্রামে খালের উপর একটি পাকা সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন সড়কটি ব্যবহার করে বড়কান্দি, পালেরচর, পূর্বনাওডোবা ও কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ২০ গ্রামের মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করতেন। ২০১৪ সালে বন্যার পানির তোড়ে সেতুটি ধসে পড়ে। সাত দিন আগে সেখানে নির্মিত সাঁকোটিও ভেঙে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।

সর্বশেষ খবর