প্রথমে বন্ধুত্ব। এরপর মন দেওয়া-নেওয়া। পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক। আবার কখনো বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে কিশোরী ও তরুণীরা। নারায়ণগঞ্জে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে সম্প্রতি একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি ঘটনায় বন্ধুর সঙ্গে বান্ধবীর বাড়িতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী। অপর ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে দেখা করতে নারায়ণগঞ্জে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন আরেক তরুণী। জানা যায়, গত ৭ জুন বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের গার্মেন্টকর্মী এক তরুণী তার বন্ধু শামীমকে নিয়ে ফতুল্লায় তার বান্ধবীর বাড়িতে বেড়াতে আসে। সন্ধ্যার পর তিনজন মিলে বুড়িগঙ্গার তীরে ঘুরতে যায়। ওই সময়ে ৬-৭ জন তাদের একটি ইটভাটায় নিয়ে শামীমকে আটকে রেখে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তবে সঙ্গে থাকা বান্ধবী ছিল অক্ষত। পরে ধর্ষকেরা তরুণীকে আটক করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় জিডি করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে রবিবার বন্ধবীসহ আরও এক যুবককে আটক করে। অপর ঘটনাটিও ঘটে গত ৭ জুন রাতে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী সদর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তের নাম রবিউল ইসলাম সামী। তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে জেলায়। ভিকটিম জানান, ৬ মাস আগে চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় রবিউল ইসলাম সামীর সঙ্গে। সেখানে তারা মুঠোফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। পরে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। এর সূত্র ধরে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামী ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে। ঘটনার দিন মেয়েটি বাসে এসে সাইনবোর্ড এলাকায় নামলে সামী তাকে গ্রহণ করে।
তরুণীর দাবি, সাইনবোর্ড থেকে সামি তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে ওই দিন রাতেই জোর করে তাকে চট্টগ্রামের বাসে উঠিয়ে দিতে শহরের উকিল পাড়া শ্যামলী বাস কাউন্টারে নিয়ে আসে। সে বিয়ে ছাড়া চট্টগ্রামে ফিরবে না জানালে এ নিয়ে বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে লোকজন জড়ো হয়ে থানায় দেয়। এ ব্যাপারে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।