আধিপত্য বিস্তার, মাদকের আগ্রাসন, ছিনতাই, পারিবারিক বিরোধসহ নানা কারণে নাটোরে হত্যাকান্ডে র ঘটনা ঘটছে। পুলিশের তথ্যমতে, বিদায়ী বছরে জেলায় ৪০টি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
নাটোর শহরতলির দত্তপাড়া বাজারে ১৪ ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করা হয় হাসান আলীকে। ঘটনার ১০ মাস পার হলেও মূল খুনিরা থেকে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নিহত হাসানের মা হাজেরা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রায় বছর হতে চলল। আমার সন্তানকে প্রকাশ্যে যারা কুপিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, সদর থানায় ছয়টি, সিংড়া থানায় নয়টি, নলডাঙ্গা থানায় তিনটি, বড়াইগ্রামে আটটি, বাগাতিপাড়ায় একটি, লালপুরে ছয়টি আর গুরুদাসপুর থানায় সাতটি হত্যা মামলা দায়ের হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিচারহীনতার দীর্ঘসূত্রতা পরিহার করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ নৈতিক মূল্যবোধ, সহনশীলতার চর্চার মাধ্যমে হত্যাকান্ডের মতো অপরাধমূলক প্রবণতা কমিয়ে আনা সম্ভব।
খুনের মামলাগুলোর অগ্রগতি ভালো উল্লেখ করে জেলা পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, ২০১৯ সালে নাটোর জেলায় সংঘটিত ৪০টি হত্যার মধ্যে অধিকাংশ হত্যারহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। হত্যাকা যাতে না হয়, সে জন্য আমরা কাউন্সিলিং করছি এবং সাতটি থানায় ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিংসহ আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি।