মাত্র তিন ঘণ্টায় ১৯২টি করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা করানো সম্ভব সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই)। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে রিয়েল টাইম পলিমার্স চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) প্রযুক্তির অত্যাধুনিক দুটি ল্যাব। প্রতি ল্যাবে তিন ঘণ্টায় ৯৬টি করোনা রোগী শনাক্ত করা যাবে। ফলে ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার পাঁচশর বেশি নমুনা পরীক্ষা করা এখানে সম্ভব। যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। এসব তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, শুধু পরীক্ষামূলক কিট সরবরাহ করলেই এর যাত্রা শুরু সম্ভব। তিনি আরও জানান, ‘একদল প্রশিক্ষিত বৈজ্ঞানিক রয়েছেন এখানে। যারা করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে প্রস্তুত। আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ এক্সট্রাকশন কিট, যা মূল পরীক্ষার পূর্বে প্রয়োজন হয়।’
জানা যায়, বিএলআরআইর এই ল্যাবটি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ড্যানিশ সরকারের আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তায়। এখানে নানা ধরনের ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া নিয়ে গবেষণা করা হয়। এটি বাংলাদেশের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা পরীক্ষা করার রেফারেন্স ল্যাব হিসেবে মূলত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যা অনেকটাই (নোভেলডি) এর মতোই। প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুস সামাদ জানান, পিসিআর সাধারণত দুই ধরনের। একটি হচ্ছে কনভেনশনাল পিসিআর সিস্টেম অন্যটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত রিয়্যাল টাইম পিসিআর সিস্টেম। যেটি আমাদের এখানে রয়েছে। জানতে চাইলে বিএলআরআইর মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার বলেন, সরকার যদি মনে করে ল্যাব দুটিকে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ব্যবহার করতে পারে। তবে সেজন্য রি-এজেন্ট এবং প্রশিক্ষণ লাগবে। ইতিমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয়কেও বিষয়টি জানিয়েছি।