বুধবার, ৬ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ধানের ফলন ভালো, তবুও উৎকণ্ঠায় কৃষক

দিনাজপুর প্রতিনিধি

ধানের ফলন ভালো, তবুও উৎকণ্ঠায় কৃষক

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিনাজপুরে এবার ইরি-বোরোর ভালো ফলন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হচ্ছে ধান কাটা-মাড়াই। বাম্পার ফলনের পরও কৃষকরা রয়েছেন উৎকণ্ঠায়। করোনার প্রভাবে গণপরিবহন বন্ধ, রয়েছে শ্রমিক সংকট। আবার ধান কাটার পর ন্যায্যমূল্য পাবেন কিনা এ নিয়ে আছে দুশ্চিন্তা। সময়মতো ধান কাটা না গেলে বিপুল পরিমাণ ধান খেতে নষ্ট হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে। ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন এলাকার কৃষক এজার উদ্দিন জানান, তিনি প্রায় ১০ একর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া না গেলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি। আবার পাকা ধান কাটা ও মাড়াইয়ে বিলম্ব হলে বৃষ্টি ও কালবৈশাখীতে ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। কৃষক সামিউল আলম জানান, বিগত বছরগুলোয় রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ধান কাটতে ছয়-সাত হাজার শ্রমিক দিনাজপুর আসতেন। এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিক আসতে পারছে না। ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ টি এম হামিম আশরাফ জানান, ধান কাটতে ইচ্ছুক শ্রমিকরা নিজেদের উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে কাজে আসতে পারছেন। এসব শ্রমিকের করোনা ঝুঁকি এড়িয়ে থাকার জন্য বন্ধ স্কুলভবন ব্যবহার করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তদারকির জন্য কৃষি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য, চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবদের বলা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে কৃষকের চাহিদানুযায়ী শ্রমিক পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এবার জেলায় এক লাখ ৭১ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ২৭০ মেট্রিকটন চাল। এটাও ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস জানায়।

সর্বশেষ খবর