পাহাড়ে চলছে টানা বৃষ্টি। কখনও ভারি, কখনও মাঝারি, আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে শঙ্কা বেড়েছে পাহাড় ধসের । উৎকণ্ঠায় পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দারা। ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অব্যাহত রয়েছে জেলা প্রশাসনের সতর্কতামূলক মাইকিং। খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। এতকিছুর পরও পাহাড় ছাড়তে নারাজ পাহাড় বসতির বাসিন্দারা। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এখনও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে দেড় লাখের অধিক মানুষ। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে মাঠে নেমেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ১০টি দল। আবহাওয়া অফিস বলছে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু অব্যাহত থাকার কারণে এ বৃষ্টি চলমান থাকবে। গতকাল সকাল থেকে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া, মনতলা, রাঙ্গাপানি, রিজার্ভ, এসপি অফিস সংলগ্ন এলাকা, শহীদ আবদুুল আলী একাডেমি সংলগ্ন ঢাল, পুলিশ লাইন সংলগ্ন ঢাল, স্বর্ণটিলা পাহাড়ের ঢাল, রাজমণিপাড়া পাহাড়ের ঢাল, রেডিও স্টেশনের পাশে শিমুলতলী পাহাড়ের ঢাল, লোকনাথ মন্দির পাহাড়ের ঢাল, আনসার ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল, চম্পক নগর পাহাড়ের ঢাল, পাবলিক হেলথ পাহাড়ের ঢাল, আমানতবাগ পাহাড়ের ঢাল, মুজিবনগর পাহাড়ের ঢাল এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে করা হচ্ছে মাইকিং। একই সঙ্গে এলাকায় এলাকায় সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে কাজ করছে রাঙামাটি পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। আবহাওয়া অফিস গত এক সপ্তাহ ধরে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করেছে ৫৮ মিলিমিটার। জেলা আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, গত শুক্রবার থেকে থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্রে নি¤œচাপের কারণে ঝড়ো হওয়াও বয়ে যেতে পারে।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ জানান, বর্ষার আগেই পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলোর মানুষকে বৃষ্টি দেখলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। তাদের জন্য মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে গঠিত ১০টি দল। পাহাড়ে যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।