বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

দরপত্র বিক্রির ৩২ লাখ টাকার হদিস নেই

কুষ্টিয়ার মিরপুর পিআইও অফিস

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে দরপত্রের শিডিউল বিক্রির প্রায় ৩২ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়নি ১০ মাসেও। এ জন্য দায়ী করা হচ্ছে মিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল কাইয়ুমকে। পিআইও বলেন, ‘টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতে ফটোকপি করাসহ অন্য খাতে কিছু অর্থ খরচ হয়েছে। তাই জমা দেওয়া হয়নি। টাকা আমার কাছে আছে। জমা দিয়ে দেব ভাবছি। এতো টাকা নিজের কাছে রাখা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, ‘পিআইওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সরকারি টাকা রাখার কোনো সুযোগ নেই।’ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ‘দরপত্র বিক্রির অর্থ ব্যক্তির কাছে রাখার সুযোগ নেই। যদি কেউ এ কাজ করেন সেটা ঠিক হয়নি।’

জানা যায়, ২০১৯ সালের শেষ দিকে মিরপুর উপজেলায় পাঁচটি হেরিং বন্ড (ইটের সড়ক) সড়ক নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সব মিলিয়ে বিক্রি হয় ১৩ লাখ ২৮ হাজার ৫০০ টাকার দরপত্র। প্রায় ১০ মাস আগে এ টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়। ইতোমধ্যে কাজ শেষে ঠিকাদাররা বিলও উত্তোলন করে নিয়েছেন। কিন্তু দরপত্র বিক্রির টাকা আজও সরকারি কোষাগারে জমা দেননি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল কাইয়ুম খান।

এদিকে ৫-৬ মাস আগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৬টি সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। কয়েকটি অফিসের মাধ্যমে প্রায় ৪৩ লাখ টাকার দরপত্র বিক্রি হয়। সেই টাকার মধ্যে ১৯ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে এখনও জমা হয়নি। সব মিলিয়ে ৩২ লাখ টাকার হদিস নেই। এ টাকার কোনো হিসাব নেই হিসাব নিয়ন্ত্রকের অফিসে।

সর্বশেষ খবর