শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

পাউবোর আপত্তিতে ফেরত গেল বরাদ্দ

২০ বছরেও হয়নি সেতু

বেনাপোল প্রতিনিধি

যশোরের শার্শা উপজেলার বাগাআঁচড়া বাজারের পাশেই বেত্রাবতী নদী। নদীর উপর নির্মিত সাঁকো দিয়ে ২০ বছর ধরে চলাচল করে শার্শার বাগাআঁচড়া, কোটা ইলিশপুর ও ঝিকরগাছা উপজেলার পিড়াগাছী, বকুলীয়াসহ কয়েক গ্রামের ৩০ হাজার মানুষ।

১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য শার্শা উপজেলা পিআইও অফিস থেকে ৬০ ফুট লম্বা সেতু বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আপত্তির কারণে সেতুটি নির্মাণ করা যায়নি বলে জানান বাগাআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল। তখন পাউবো দাবি তোলে সেতুটি ১৫০ ফুট লম্বা না হলে নদী নাব্য হারাতে পারে। সে কারণে ৬০ ফুট লম্বা সেতুর বরাদ্দ অর্থ সরকারি দফতরে ফেরত যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাঁকোর দুই পাশে রেলিং নেই। চলার সময় দোলে। প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোর পাশেই বাগাআঁচড়ার বাজার। সেখানে সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার দেশের বৃহৎ পশুর হাট বসে। এ দুই দিন দূর-দূরান্ত থেকে পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা সাঁকো পার হতে ভোগান্তির শিকার হন। বাগাআঁচড়া বাজারে রয়েছে আফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, মহিলা মাদ্রাসা, হাইস্কুলসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকি নিয়ে নদীর এপার-ওপার যেতে হয়। বাগাআঁচড়া এলাকার আজিজুল হক বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে পাস করার পর আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না। প্রায় ২০ বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে বেত্রাবর্তী নদী পারাপার হচ্ছে। বাগাআঁচড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস কবির বকুল বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয় এমপিকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দ্রুতই একটা ফল পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ খবর