বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

ভ্যাটে আটবার দেশসেরা কুমিল্লা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন জমায় টানা আটবার প্রথম হয়েছে ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লা। ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এ আট মাস টানা চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। কুমিল্লায় ফেব্রুয়ারি মাসে রিটার্ন দাখিল করেছে ৯,৮৩৭ প্রতিষ্ঠান। নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০,১১২। মোট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানের ৯৭.২৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট রিটার্ন  দিয়েছে।

দাখিল করেছে।

 এর প্রায় ৯৭ ভাগই অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে। কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সূত্র মতে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশের ১২টি ভ্যাট কমিশনারেট যেখানে গড়ে ৪২.১৬ শতাংশ দাখিল করে। সেখানে কুমিল্লার এ ঊর্ধ্বগতি বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। সেরা হওয়ার আট মাসে পূর্বে গত জুন মাসে কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটের ছয় জেলায় ভ্যাট রিটার্নকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪৫১৬। ফেব্রুয়ারিতে তা দাঁড়ায় ৯,৮৩৭-এ। এ সময়ে প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫,৩২১টি। জুন মাসে কুমিল্লা সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। এর আগের দুই মাস, এপ্রিল ও মেতে কুমিল্লা চতুর্থ স্থানে থাকে। চ্যাম্পিয়ন হওয়া বাকি ছয় মাসের মধ্যে জুলাই মাসে ৯১.১৮, আগস্ট মাসে ৯০.৮৭, সেপ্টেম্বর মাসে ৯৩.৮৭, অক্টোবর মাসে ৯৪.১৬, নভেম্বর মাসে ৯৩.৮০, ডিসেম্বর মাসে ৯৪.৯৯ ও জানুয়ারি মাসে ৯৭.০৯ শতাংশ ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে কুমিল্লা। কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রমতে, এ কমিশনারেটের আওতাধীন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলায় মোট ১৬টি কার্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি বিভাগীয় ও বাকি ১০টি সার্কেল কার্যালয়। ৫২১টি অনুমোদিত জনবলের বিপরীতে কাজ করছেন ২১১জন। লোকবল নেই ৩১০টি পদে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লা সদর দফতরের সহকারী কমিশনার ছালাউদ্দিন রিপন বলেন, ‘২০২০ সালের এপ্রিল মাসেও কুমিল্লায় মাত্র ২,৯৭৫ জন রিটার্ন দাখিল করে। এক বছরের কম সময় ব্যবধানে তা ১০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। দিন দিন ভ্যাট রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী, ‘এক শতাংশেরও কম প্রতিষ্ঠান ম্যানুয়ালে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করেছে। বাকি ভ্যাট দাখিলকারীদের সবাই অনলাইনে ভ্যাট দাখিল করেছেন। অটোমেশনের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এটা এক যুগান্তকারী অর্জন। এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে এখানকার স্টাফরা কখনো কখনো নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। যেখানে ইন্টারনেট সমস্যা ছিল। ওই স্থান বদল করে অন্যত্র গিয়ে আমরা ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের কাজ করেছি। রামগতিতে ইন্টারনেট না থাকলে চলে গেছি চর আলেক্সজান্ডারে। তিনি বলেন, ‘লোকবলের সংখ্যা বাড়ানো গেলে অন্য কর্মকর্তাদের ওপর চাপ কমে যাবে। আরও বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা যাবে। এতে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

সর্বশেষ খবর