বৃহস্পতিবার, ১০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

মরিচের বাম্পার ফলন কিন্তু হতাশ কৃষক

মো. কাবুল উদ্দিন খান, মানিকগঞ্জ

মরিচের বাম্পার ফলন কিন্তু হতাশ কৃষক

মানিকগঞ্জে সর্বত্রই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। তবে দাম কম থাকায় কৃষকরা হতাশ। শ্রমিকের মজুরী, সার, কীটনাশক এর অধিক মূল্য এসব পরিশোধ করে কাঁচা মরিচে লোকশানের আশঙ্কা করছেন তারা। দেশ-বিদেশে মানিকগঞ্জের কাঁচা মরিচের সুনাম রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জেলার সর্বত্রই চাষ হয়ে থাকে মরিচ। বিশেষ করে ঘিওর, শিবালয়, সাঁটুরিয়া ও হরিরামপুর উপজেলায় মরিচ চাষ হয় বেশি। জেলার উৎপাদিত মরিচ দেশব্যাপী সরবরাহের সুবিধার্থে বরংগাইল, ঝিটকা, বাঠইমুড়ী, সাঁটুরিয়া, ভাটবাউর, জাগীরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি আড়তে কাঁচামরিচ  ক্রয়-বিক্রয় হয়। সরেজমিনে ঘিওর উপজেলার বাঠইমুড়ি কাঁচা মরিচ আড়তে গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত  কাঁচা মরিচ নিয়ে এসেছেন। ভ্যান, রিকশা, হ্যালোবাইক,বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন বাহনে তারা আড়তে এসেছেন। কিন্তু কাঙ্খিত দাম না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন উভাজানি গ্রামের মরিচ চাষি মোতালেব হোসেন। তিনি বলেন এবার ৭ বিঘা জমি কটে নিয়ে মরিচ চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমি এক বছরের জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মালিককে দিতে হয়। এছাড়া শ্রমিকের মজুরী, সার, বীজ, কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ হয় বিঘা প্রতি ১০/১২ হাজার টাকা। মরিচ বিক্রি করলাম ১২ টাকা কেজিতে। সামনে মরিচের ভরা মৌসুম এর চেয়ে দাম কমে গেলে লোকসান গুনতে হবে। গতবছর বন্যায় মরিচে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এবার ক্ষতি হলে কৃষি কাজ ছেড়ে দিব। তার মতো মিজান-কাদেরসহ অনেকেই জানান এবার মরিচে লোকসান হলে আর চাষাবাদ করবেন না। বাঠইমুড়ি কাঁচা মরিচ আড়তের সভাপতি মো. দিলশাদ খান দেলোয়ার বলেন এখানকার মরিচের মান ভালো। চাহিদাও বেশি। এ আড়তে সাধারণত বিন্দু, কালা বিন্দু ও বাল্লা মরিচ কেনা বেচা হয়। এখান থেকে আগে  কাঁচা মরিচ বিদেশ যেত। তখন কৃষকরাও লাভবান হতো আমরাও লাভবান হতাম। আমাদের দাবি আবার মরিচ বিদেশ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। তা নাহলে কৃষক বাঁচবে না। আমরাও আড়ত চালাতে পারব না।  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, এবছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৯৯০৮ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। করোনার কারণে বিদেশে মরিচ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর