শিরোনাম
সোমবার, ১৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

লালমনিরহাটে জ্বর-কাশির রোগী বাড়ছে, শঙ্কায় জেলাবাসী

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

লালমনিরহাটে জ্বর-কাশির রোগী বাড়ছে, শঙ্কায় জেলাবাসী

লালমনিরহাটে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বর, সর্দি ও কাশি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাও। ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তা ব্যক্তিরা চিন্তায় পড়েছেন। তেমনি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও  উৎকণ্ঠা। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, গত এক সপ্তাহে জেলায় জ্বর, সর্দি ও কাশির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে ২৩ শতাংশ। আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যায়, প্রচন্ড রোদ আবার কখনো বৃষ্টিতে শীতল হাওয়া নিয়ে চলছে লালমনিরহাটের আবহাওয়া। আবহাওয়ার এ বিরূপ প্রভাবে জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রতিটি বাড়িতে এক দুজন করে সদস্য জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেকেই করোনা আক্রান্তের ভয়ে পল্লী চিকিৎসকদের পরামর্শে গোপনে চিকিৎসা করছেন। এরপরও জেলা সদর হাসপাতালসহ সব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। যাদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দি, কাশি ও নিউমোনিয়া। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্তরা জানান, আগের তুলনায় এ জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি। জ্বরের সঙ্গে সব শরীরের মাংসপেশী ও হাড়ের জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হয়। কাশিতে বুকে ব্যথা হচ্ছে। অনেকের শ্বাসকষ্টও দেখা দিচ্ছে। যা প্রাথমিকভাবে করোনার লক্ষণ ভেবে অনেকেই আইসোলেশনের ভয়ে গোপনে পল্লী চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পল্লী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া রোগীদের সংখ্যা গ্রামে বেশি। তবে শহরের লোকজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে গেলে কেউ কেউ করোনা পরীক্ষা করে আইসোলেশন থাকছেন। তবে তার সংখ্যা অনেক কম। আইসোলেশনের ভয়ে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না অনেক রোগী। যদিও সরকারিভাবে ফ্রিতে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে জেলার সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলমাস মিয়া (৫০) বলেন, জ্বরে শরীরে এমন ব্যথা আমার জীবনে কখনোই দেখিনি। পুরো শরীরে প্রচন্ড ব্যথা, কাশির কারণে বুকেও ব্যথা অনুভব হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর