সব বারই ভোট দিই। এবার ঘরে পইড়া গেছি বলে কি ভোট দিমু না! তা কি হয়? তা ছাড়া বয়স তো অনেক হইছে জীবনে আর ভোট পামু কি না জানি না তাই ভোট দিতে আইলাম। ভোট দিতে এসে এমনটাই বলছিলেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার গাজিরটেক ইউনিয়নের বানসারাম বিশ্বাসের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা ৯১ বছর বয়সী নারী কুলসুম বেগম। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে না পারলেও পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে নাতি সাত্তার মোল্যার কোলে চরে নিজ ভোট কেন্দ্রে এসেছেন ভোট দিতে। ভোটও দিয়েছেন নিজ হাতে। এ সময় তিনি আরও বলেন- ভোটকে কেন্দ্র করে অনেক দিন পরে বাড়ির বাইরে আইসা পরিচিত অনেক মানুষের সাথে দেহা হয়ে অনেক ভালো লাগতাছে। অহন মনে হইতাছে আমার কোনো অসুখ নাই। সারাদিন ঘরের মধ্যে শুইয়া থাকতে আর ভালো লাগে না। তাই ভোটের পরেও বাইরে অনেকক্ষণ বইয়া থাহুম। বাড়ি গেলে তো আর কবে বাইর হমু জানি না। শুধু কুলসুম বেগমই নয়, অনেক বয়সী নারী-পুরুষ এবার ভোট কেন্দ্রে এসেছেন ছেলে, ভাই, নাতি কিংবা স্বজনদের কোলে চড়ে। ভোট দিতে পেরে তারা বেশ খুশি। গতকাল তৃতীয় ধাপে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও চরভদ্রাসন উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়। সকালে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।