শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

মোংলা চ্যানেলে বেপরোয়া চোরাচালান সিন্ডিকেট

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোংলা চ্যানেলে বেপরোয়া চোরাচালান সিন্ডিকেট

মোংলা বন্দরের পশুর নদে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাচালান সিন্ডিকেট চক্র। বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা এ চক্র পাচার করছে মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন সময়ে পাচার করা মাল উদ্ধার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে চক্রের সদস্যরা। চোরাচালানিদের কারণে ব্যবসায়ীরা যেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকারও হচ্ছে রাজস্ব বঞ্চিত।

চোরাচালান রোধে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানা যায়, মোংলা বন্দরে আসা বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজে সার্বক্ষণিক কাস্টমসের রামেজ টিম থাকার কথা। কিন্তু তারা না থাকার কারণেই চোরাকারবারিরা জাহাজ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র পাচারের সুযোগ পাচ্ছে। কাস্টমসের এ রামেজ টিমের বিষয়ে মোংলা কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা ও রামেজ টিম প্রধান নাজমুল বলেন, আমাদের লোকবলের সমস্যা রয়েছে, যার কারণে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে তৎপর হব, ভবিষ্যতে আর এ সমস্যা থাকবে না। মোংলা পৌর শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট, রিজেকশন গলি, শহরতলির কানাইনগর-বাইদ্যাপাড়া ও জয়মণি এলাকার সংঘবদ্ধ এ চোরাকারবারিরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বন্দরের পশুর নদে। এ ছাড়া খুলনার দাকোপ উপজেলার লাউডোব, বাজুয়া, বানীশান্তা-কাটাখালীতে রয়েছে আরও একটি চোরাচালান সিন্ডিকেট। এ চক্র মূলত বিদেশি জাহাজ থেকে ডিজেল, মবিল, মুরিং রোপ, ওয়ায়ের রোপ, লোহা, তামা, বিদেশি মদ, সিগারেট ও রংসহ নানা মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পাচার করে আসছে। বিদেশি জাহাজের হ্যাজ ভেঙেও মালামাল নিয়ে যায় এ চক্র। মোংলা বন্দর শিপ চ্যান্ডেলার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এইচ এম দুলাল বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ শিপ চ্যান্ডেলার্স ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভেন্ডর লাইসেন্স দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের। সেসব লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা কাজ করতে পারছেন না। কারণ অবৈধ ও চোরাইভাবে ছোট ছোট নৌকা জাহাজের গায়ে/পাশে গিয়ে মালামাল বিনিময়ের আড়ালে চোরাচালান করে আসছে একটি চক্র। এটা বন্ধ না হওয়ায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কাজ পাচ্ছে না। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আইউব আলী বলেন, এসব বন্ধে কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, পুলিশ ও কাস্টমসকে চিঠি দেওয়া হবে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করে নেওয়া হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

সর্বশেষ খবর