শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

পরিত্যক্ত ভবনে মোংলা পোর্ট পৌরসভার কার্যক্রম

বাগেরহাট প্রতিনিধি

পরিত্যক্ত ভবনে মোংলা পোর্ট পৌরসভার কার্যক্রম

পৌরভবনের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ে বেরিয়ে গেছে রড -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পার করলেও নির্মাণ হয়নি নিজস্ব ভবন। ১৯৭৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ২৭ শতাংশ জমি ভাড়া নিয়ে ৩৬ বছর চলে মোংলা পৌরসভার কার্যক্রম। পৌরসভা পরে ওই জায়গায় দোতলা মার্কেট করে ভাড়া দেয়। বর্তমানে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের শ্রমিক হাসপাতালের পরিত্যক্ত তিন তলা ভবনে ১০ বছর ধরে চলছে পৌরসভার কার্যক্রম।  পরিত্যক্ত ওই ভবনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। সামনের অংশের রড বের হয়ে গেছে। পিলারে ফাটল ধরেছে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন পৌর মেয়রসহ ৩৫ জন স্থায়ী এবং ১০৫ জন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। মোংলা পোর্ট পৌরসভার নাগরিক সেবা নিতে আসা আলী আজম, ওয়াসিম আরমান, আবদুল জলিল ও কেয়া বেগম জানান, মোংলা উপজেলার সব ইউনিয়নেও এর চেয়ে ভালো ভবন রয়েছে। বর্তমানে পৌরসভার রাস্তাঘাট এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পৌরসভার কাজ চলছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুর রহমান জানান, বিগত ৪৬ বছরেও আমরা পৌরসভার জন্য কোনো স্থায়ী জায়গায় ভবন করতে পারিনি। ঝুঁকি নিয়ে নাগরিকদের সেবা দিতে হয়। নতুন পৌর ভবনের জন্য ৫২ শতাংশ জায়গা প্রয়োজন, যা মোংলা পোর্ট পৌরসভার নেই। সরকারি জায়গা চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছেও জায়গার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, জায়গা পেলে ভবন নির্মাণ করা হবে। তখন নাগরিক সেবা কার্যক্রমে গতি বাড়বে। ভাড়া নেওয়া জায়গায় পৌর ভবন না করে মার্কেট করা হলো কেন- জানতে চাইলে মেয়র বলেন, পৌর ভবনের জন্য ৫২ শতাংশ জায়গার প্রয়োজন। ২৭ শতাংশ জায়গায় পৌর ভবন নির্মাণের নিয়ম নেই।

সর্বশেষ খবর