রবিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

নড়বড়ে ভাসমান সেতুতে চলাচলে ভোগান্তি

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

নড়বড়ে ভাসমান সেতুতে চলাচলে ভোগান্তি

কলাপাড়ার ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং চার ফুট প্রস্থের সেই কাঠের ভাসমান সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমার খালের ওপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হয়েছিল সেতুটি। পানির ওপরে দেওয়া হয়েছে প্লাস্টিকের ড্রাম। তার ওপর কাঠের পাটাতন।

বর্তমানে সেতুটি নড়বড়ে হয়ে গেছে। তারপরও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচ গ্রামের মানুষ উপায় না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়েই পারাপার হচ্ছেন। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এ খালের ওপর স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতর ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাখিমার খালের ওপর আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে। ২০২০ সালে ৬ আগস্ট রাতে ব্রিজটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। তখন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সবজির গ্রাম খ্যাত মজিদপুর, এলেমপুর, কুমিরমারাসহ আশপাশের গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গ্রামবাসীর অর্থায়নে এবং স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয় ভাসমান কাঠের সেতু। স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে সেতুটি একেবারে নড়বড়ে হয়ে গেছে। অনেক স্থানে ভেঙে গেছে কাঠ। কোথাও ড্রাম ফুটো হয়ে পানি প্রবেশ করছে। দেবে গেছে বেশিরভাগ জায়গা। সেতু পারাপার হতে গিয়ে এখন প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। কুমিরমারা গ্রামের কৃষক সুলতান গাজী বলেন, তাদের গ্রামে প্রচুর ধান ও সবজি আবাদ হয়।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। একটি সেতুর অভাবে মালামাল পরিবহন করতে হয় মাথায় করে। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির মিয়া বলেন, এই সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে সম্প্রতি অনেকে আহত হয়েছেন। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না। স্থানীয় বাসিন্দা নাসিরউদ্দিন বলেন, সেতুর অভাবে প্রতিদিন দুর্ভোগ মাড়িয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়। অনেক সময় এক ঘণ্টার পথ যেতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মহর আলী বলেন, আয়রন সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নতুন গার্ডার সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর