শনিবার, ২৯ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

উন্নয়নে বদলে গেছে উল্লাপাড়া

আবদুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

উন্নয়নে বদলে গেছে উল্লাপাড়া

পরিকল্পিত উন্নয়নে বদলে গেছে সিরাজঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গ্রামীণ জনপদের চিত্র। চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে নির্মিত হয়েছে পাকা রাস্তা ও সেতু-কালভার্ট। ফসলের মাঠের বুক চিরে নির্মিত কংক্রিটের রাস্তায় চলছে আধুনিক যানবাহন। কৃষকরা খামারে উৎপাদিত দুধসহ কৃষিপণ্য কারখানা ও হাট-বাজারে আনা নেওয়া করতে পারছেন সহজেই। এক যুগ আগেও যা ছিল এই জনপদের মানুষের কাছে স্বপ্ন। বর্তমান সরকারের এমন উন্নয়নে মানুষের জীবনে পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রামে বসেই পাচ্ছে শহরের সব সুযোগ-সুবিধা। উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন জানান, এ উপজেলায় ২০১৪ সাল থেকে ২০৮ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সংস্কার হয়েছে প্রায় ২০০ কিলোমিটার। ১৬টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে সাব-মার্সিবল সড়ক করা হয়েছে ২৫ কিলোমিটার। নতুন করে আরও ৩০ কিলোমিটার সাব-মার্সিবল সড়কসহ গ্রামীণ রাস্তা, সেতু-কালভার্ট বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উল্লাপাড়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, এ উপজেলার সোনাতলায় করতোয়া নদীর ওপর শতকোটি টাকা ব্যয়ে একটি বড় সেতু, উল্লাপাড়া রেলগেটে রেলওয়ে ওভার পাস নির্মাণ শেষের পথে। একই সঙ্গে এ বিভাগের মাধ্যমে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে উল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া থেকে পাঙ্গাসীর বাংলাপাড়া পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়েছে। বাংলাপাড়া থেকে উধুনিয়া বাজার পর্যন্ত তিন কিমি নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ  এগিয়ে চলছে। এই সড়ক নির্মাণ শেষ হলে উল্লাপাড়া-চাটমোহর উপজেলার যোগাযোগ সহজ হবে। তাছাড়া উল্লাপাড়া-বেলকুচি ১৮ কিমি সড়ক সংস্কার শুরু হয়েছে। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এই সড়কে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে বাইলেন। উল্লাপাড়া-বেলকুচি সড়কে নির্মিত হয়েছে বক্স কালভার্ট। প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে উল্লাপাড়া-পূর্ণিমাগাঁতী-তাড়াশ সড়ক সংস্কার হয়েছে। মেরামত করা হয়েছে হাটিকুমরুল থেকে বগুড়া নগরবাড়ী মহাসড়কের বালসাবাড়ি পর্যন্ত। জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে মোহনপুর ইউনিয়নের কালিয়াকৈড় ও সুজা গ্রাম। দুর্গম এ গ্রামের মানুষ কৃষি ও গবাদিপশুর ওপর নির্ভরশীল। এ সময়ে রাস্তা খারাপ থাকায় কৃষকরা সার-বীজসহ মালামাল আনা নেওয়া করতে পারতেন না। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা যেতে পারত না শহরের স্কুল-কলেজে। একই চিত্র ছিল উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরের গজাইল, খোদ্দ গজাইল, চয়ড়া, ছোট তরফ বায়রা, ভায়রা, চা-লগাঁতী, আলীগ্রাম ও সেনগাঁতী গ্রামের। এসব গ্রামে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় মানুষ যুগের পর যুগ দুর্ভোগে ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এসব এলাকার ফসলের মাঠের বুক চিরে নির্মিত হয়েছে কংক্রিটের আধুনিক সাব-মার্সিবল (ডুবো) পাকা সড়ক। যা বন্যার পানিতে তলিয়ে থাকা। শুকনো মৌসুমে আবার যানবাহন ও মানুষে চলাচল করে। এতে দূর হয়েছে মানুষের ভোগান্তি। বদলে গেছে জীবনমান।

সর্বশেষ খবর