শিরোনাম
বুধবার, ২৯ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

অবৈধ বালু তোলায় হুমকিতে সেতু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

অবৈধ বালু তোলায় হুমকিতে সেতু

পানি উন্নয়ন বোর্ড বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ঠাকুরগাঁও শহরের টাঙন নদীর সেতুর পাশ থেকে ফের দিনে-দুপুরে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। এর আগেও সেতুর পাশে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলার কারণে সেতু রক্ষা বাঁধ ভেঙে যায়। ভুক্তভোগীরা বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শহরের টাঙন সেতুটি রয়েছে ঝুঁকিতে। গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলা শহরের টাঙন নদীর সেতুর নিচে ড্রেজার বসিয়ে বালু তোলা চলছে। পাশের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের খাল ভরাট করার জন্য এই ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে। ড্রেজার বসানোর অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে তারা মাটি ভরাট করার একটি কাগজ দেখান। যেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, নদীর পাড়ে বিদ্যমান বালি দিয়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পেছনের খাল ভরাট করার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ড্রেজার বসিয়ে বালু দিয়ে খাল ভর্তি করছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে টাঙন নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে এলেও এরা বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি বারবার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কাজের কাজ কিছুই হয় না বরং বালু সিন্ডিকেটরা বেপরোয়া ভাবে তাদের বালু তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ভাঙনের কবলে পড়ে নদীর পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গাছপালা, জায়গা জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।

ঠাকুরগাঁও মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাটির নিচ থেকে কাদা বালু উত্তোলন করা হলে ভূমির উপরিভাগ ঠিক থাকলেও তলদেশের ব্যাপক জায়গা নিয়ে ফাঁকা হয়ে যায়। এভাবে প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে বড় বড় স্থাপনা, রাস্তাঘাটসহ ব্যাপক এলাকা দেবে যেতে পারে। এটা পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সর্বশেষ খবর