মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ভেসে গেছে ১৬ কোটি টাকার মাছ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

টানা বর্ষণ এবং দুই সপ্তাহের পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় বন্যায় ভেসে যায় বাড়িঘর। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষিরাও। অনেকে লিজ নিয়ে পুকুরে মাছ চাষ করেছিলেন। জীবিকা নির্বাহে অনেক চাষি এ মাছ চাষকেই পেশা  হিসেবে নিয়েছেন। কিন্তু বন্যায় ভেসে গেছে তাদের স্বপ্ন। জানা গেছে, সর্বমোট ২৬ হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে ১৫ হাজার মৎস্যচাষির মাছ। তাদের মধ্যে প্রান্তিক চাষির সংখ্যাই বেশি বলে জানান মৎস্য কর্মকর্তা। এ ক্ষতি পোষানোর নেই কোনো ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে সরকার খামারিদের প্রণোদনা দিলে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীরা। মৎস্য কর্মকর্তাও জানান, শুধু পোনামাছ ভেসে গেছে ২ কোটি টাকার । জেলার মৌগাতি ইউনিয়নের শালজান গ্রামের চাষি মাহবুবুল আলম জানান, জাল দিয়ে আটকেও মাছ রাখতে পারিনি এ বছর। কম হলেও প্রায় ৬ লাখ টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে তার। এমনও চাষি আছেন লিজ নিয়ে একটি ফিশারি দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান কবীর জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ঊধ্বর্তন বরাবরে পাঠানো হয়েছে।

যদি কোনো প্রণোদনা পায় তাহলে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেও তিনি মনে করেন। এ ছাড়া তিনি বলেন, এবার জাতীয়ভাবে ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে আড়াই হাজার কোটি টাকার মাছ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে চাষিরা পড়েছেন ক্ষতির মধ্যে। যাদের এ মাছ উৎপাদনে অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলায় ৫২ হাজার ৭৪ দশমিক ৯৩ মেট্রিক টন মাছের চাহিদা থাকলেও এ অঞ্চলে মাছ দ্বিগুণ উৎপাদন হয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ১০৪ দশমিক ৩৮ মেট্রিক টন মাছ পাওয়া যায়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য আসে ২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদন হয় ৪০ হাজার ৬৬৫ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। জেলায় পুকুর রয়েছে ৬০ হাজার ৯৫২টি। চাষি রয়েছেন ৪৭ হাজার ১৫৩ জন।

 

সর্বশেষ খবর