ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় পর এবার উদযাপন হবে দুর্গাপূজা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এবার বাড়িতে দুর্গা আসছে-এ নিয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। চলছে পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জানা যায়, ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে ২০-২২টি হিন্দু পরিবার রয়েছে। উপজেলার অন্য এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায় প্রতি বছর দুর্গা উৎসব আয়োজন করলেও ওই গ্রামে পূজা হতো না। অন্য এলাকায় গিয়ে পূজা করতেন রুটি গ্রামের লোকজন। নারীদের অনেকে চলে যেতেন বাবার বাড়ি। এ বছর গ্রামের হিন্দু পরিবারগুলো দুর্গাপূজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, রুটি শীলপাড়ার কাজল মাস্টারের বাড়ির উঠানজুড়ে প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। একটি ভিটিতে তৈরি করা হচ্ছে পূজামন্ডপ। একজন নারী ধোঁয়ামোছার কাজ করছেন। অন্যরা নানা কাজে ব্যস্ত। বাড়ির সামনের সড়কে সুদৃশ্য তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক থেকে বাড়ি পর্যন্ত সরু পথের দুই পাশে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, দীর্ঘদিন পর রুটি গ্রামের শীল পাড়ায় পূজা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরাও আনন্দিত। সুন্দরভাবে যেন দুর্গাপূজা আয়োজন করতে পারে এজন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। শীল পাড়ার বকুল রানী শীল বলেন, আগে অন্য জায়গায় গিয়ে পূজা দেখতাম। এবার আমাদের বাড়িতে দূর্গা উৎসব হচ্ছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় যাতে নির্বিঘ্নে ও সুন্দরভাবে পূজা করতে পারে এজন্য আমরা সব সময় খোঁজখবর রাখছি। রুটি শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি শিক্ষক কাজল চন্দ্র শীল বলেন, স্বাধীনতার আগে আমাদের গ্রামে দুর্গাপূজা হতো। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব, আর্থিক অসচ্ছলতা আর উদ্যোগের অভাবে এতোদিন এলাকায় পূজার আয়োজন করা হয়নি।