সোমবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্পনগরী প্লট আছে, ক্রেতা নেই

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্পনগরী প্লট আছে, ক্রেতা নেই

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল বিসিক শিল্পনগরীতে প্লট আছে, কিন্তু ত্রেুতা নেই। গত চার বছরে একটি প্লটও কেউ এই বিসিক থেকে বরাদ্দ নেয়নি। তাই এখানে গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প কারখানা। বর্তমানে এই বিসিক শিল্পনগরীটি পড়ে আছে তালাবদ্ধ অবস্থায়। অথচ উপজেলা পর্যায়ে এটি ছিল প্রথম কোনো বিসিক শিল্পনগরী। এই বিসিকের কাজ চলা কালে স্থানীয় উদ্যোক্তারা অনেক স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ উপজেলায় উৎপাদিত বিভিন্ন কাঁচামাল যেমন আনারস, লেবু, চা, রাবার ও বালুর ওপর ভিত্তি করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। কিন্তু শিল্প উদ্যোক্তারা জানান, এখানে প্লটের মূল্য বেশি। নেই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। তাই প্লট বরাদ্দ নিতে কারও আগ্রহ নেই। প্রথমে যারা না বুঝে নিয়ে ছিলেন তারাও পরে প্লট বুঝিয়ে দিয়ে টাকা  ফেরত নিয়ে নিচ্ছেন। জানা যায়, ২০১২ থেকে এই বিসিকের কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। উপজেলার উত্তরসুর এলাকায় ২০ একর জায়গার ওপর এই বিসিকে ১২২টি শিল্প প্লট তৈরি করা হয়। রাখা হয়েছে পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগের ব্যবস্থা। শিল্পনগরীর ভিতরে করা হয়েছে অফিস ভবন, পাম্প হাউস, কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবন, ডাম্পিং ইয়ার্ড ও একটি পুকুর। পরিকল্পনা রয়েছে মসজিদ নির্মাণের। এই শিল্পনগরীটি গড়ে তুলতে মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এখন উদ্যোক্তাদের কাছে বরাদ্দের জন্য প্রতি শতাংশ জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।  স্থানীয় উদ্যোক্তা পুলক সূত্রধর বলেন, এখানে জমির মূল্য অনেক বেশি। আমি প্লটের টাকা ফেরত নিয়ে বিসিকের বাইরে কম টাকায় জমি কিনে কারখানা স্থাপন করেছি। ডো ইমপেক্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আক্তার হোসেন বলেন, আমরা দুটি প্লট নিয়েছিলাম। কিন্তু কারখানা স্থাপনে কর্তৃপক্ষের কোনো সহযোগিতা পাইনি। দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকার পর প্লট ফেরত দিয়েছে। এখন প্রশাসনিক জটিলতায় প্লটের টাকা পাচ্ছি না। শ্রীমঙ্গল ব্যসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিসিক নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ নেই। নতুন উদ্যোক্তাদের বিসিক টানতে পারছে না। এর কারণ হলো, এখানে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই। তাছাড়া জমির মূল্য স্থানীয় বাজার থেকে ২/৩ গুণ বেশি। মৌলভীবাজার বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক মো. বেল্লাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তিন মাস আগে ৪০টি প্লটের জন্য আবেদন পেয়েছি। প্লটগুলো বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলছে। বাকি প্লটগুলো বরাদ্দের জন্য প্রচার-প্রচারণা করা হবে। তারপরও যদি না হয় তাহলে জমির মূল্য কমানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর