শিরোনাম
শনিবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

নকল খেজুরের গুড়ে সয়লাব টঙ্গীর আড়ত

আফজাল, টঙ্গী

নকল খেজুরের গুড়ে সয়লাব টঙ্গীর আড়ত

শীত মৌসুমে লোভনীয় খাবার খেজুরের গুড়। সেই গুড়ে নেই খেজুরের রস, নেই আসল সুবাস। অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে কিংবা কৌশলে চিনি, ঝোল গুড়, রং, চুনা ও সোডা মিশিয়ে তৈরি করে খুচরা বাজারে বিক্রি করছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এসব খাবার খেয়ে অনেকেই বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। তৈরি করা এসব কারখানার বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কর্তৃক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এর ভয়াবহতা বেড়েই চলছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন জেলা নাটোর, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে নকল খেজুরের গুড়  তৈরি হয়ে গাজীপুরের টঙ্গী, ভোগড়া বাইপাস, জয়দেবপুর বাজার, কোনাবাড়িসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি আড়তে প্রবেশ করছে। আর এসব আড়ত থেকে ছড়িয়ে পড়ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে। পরে খুচরা দোকানিরা গুড়ের পসরা সাজিয়ে নকল খেজুরের গুড় আসল বলে চালিয়ে দিচ্ছে সাধারণ ক্রেতার হাতে। এসব আড়ত ও তৈরি করা কারখানায় দীর্ঘদিন অভিযান না চলায় কোনো তোয়াক্কাই করছেন না তারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাদিম খান বলেন, বাজার থেকে খেজুরের গুড় নিয়ে বাসায় জাল দিয়ে  দেখি রসের কোনো আলামতই নেই। এটা কি খেজুরের গুড় নাকি আখের গুড়। এসব ভেজাল বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে। অভিযানের নামে চোর-পুলিশ খেলা চলবে না। টঙ্গীবাজার এলাকার আড়ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে, তারা নকল খেজুরের গুড় বিক্রি করার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যেখানে তৈরি হয় সেখান থেকে বন্ধ করতে হবে। আমাদের বলে কোনো লাভ নেই। কারণ আমরা এটা তৈরি করছি না। আসল জায়গায় ধরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ বিষয়ে স্থানীয় এক চিকিৎসক ডা. জালাল আহম্মেদ বলেন, ভেজাল জাতীয় কোনো কিছু দিয়ে তৈরি করলে অবশ্যই মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যাপারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের গাজীপুর কর্তৃপক্ষ বলছেন, খাবারে ভেজাল এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সর্বশেষ খবর