শিরোনাম
সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

সংকটে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ

জরাজীর্ণ ভবন নেই পর্যাপ্ত ওষুধ চিকিৎসক-কর্মচারী

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

সংকটে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ

শয্যা সংকটে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের বারান্দায় মেঝেতে রোগী রেখে চলছে চিকিৎসাসেবা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নানা সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসক স্বল্পতার পাশাপাশি নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স, টেকনোলজিস্ট এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। এসব পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, সদর হাসপাতালের চেয়ে এ সমস্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আরও প্রকট। সূত্র জানায়, রাঙামাটি জেলায় রয়েছে একটি মাত্র জেনারেল হাসপাতাল। উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থাকলেও ভালো মানের কোনো চিকিৎসা নেই। বাধ্য হয়ে উপজেলার বেশিরভাগ রোগী সদর হাসপাতালে আসেন। বহু পুরনো জেনারেল হাসপাতাল মাত্র ১০০ শয্যার। কিন্তু প্রতিদিন এখানে রোগী ভর্তি হচ্ছেন ২০০ থেকে ৩০০ জন। নেই পর্যাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী। রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় চিকিৎসকের ১০৯টি পদ থাকলেও এর মধ্যে ৬৫টিই শূন্য রয়েছে। নার্সের ২৩২ পদের বিপরীতে শূন্য ১৫৬টি। এ ছাড়া ৮৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টের বিপরীতে শূন্য ৩২, উপসহকারী কমিউনিটি ও মেডিকেল অফিসার ৩৬ পদের (স্যাকমো) বিপরীতে ৩০টি, আটজন স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিপরীতে পাঁচটি, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের ২৩ পদের বিপরীতে ১৪টি, স্বাস্থ্য সহকারীর ১৫৫ পদের বিপরীতে ৩০টি, সিএইচসিপির ১৩৪ পদের বিপরীতে ২২টি এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ২২০-এর বিপরীতে শূন্য ১৭৬টি পদ। রাঙামাটির সব হাসপাতালে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী না থাকায় অতিরিক্ত রোগীর স্বাস্থ্যসেবায় বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. সওকত আকবর। তিনি বলেন, যতদিন রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত না হবে ততদিন এ সমস্যা থাকবে। এ ছাড়া অতিরিক্তি রোগী ভর্তি হলে বাড়তি শয্যা, ওষুধ ও খাবার প্রয়োজন হয়। এখানে শয্যা মাত্র ১০০টি। ফলে অনেক সময় রোগীর মেঝেতেও জায়গা হয় না। তার মধ্যে নেই পর্যাপ্ত কর্মচারী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে উন্নত সেবা নিশ্চিত করা গেলে সদর হাসপাতালের রোগীর চাপ কমে আসবে। সংকটের কথা স্বীকার করে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাস খীসা বলেন, জেনারেল হাসপাতালের চেয়ে এ সমস্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে মারাত্মক। বিশেষ করে উপজেলাগুলোতে চিকিৎসকের আবাসন সমস্যা রয়েছে। সেখানে অনেকেই থাকতে চান না। এ ছাড়া জেলার চারটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই একেবারে জরাজীর্ণ।

সর্বশেষ খবর