নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-মাইজদী-সোনাপুর চার লেন সড়ক নির্মাণকাজে ধীরগতির কারণে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। শহরের বাসিন্দারা ধুলা-বালুর কারণে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। শুধু ধীরগতিই নয় সড়ক নির্মাণে কণার সঙ্গে লাল বালুর পরিবর্তে ভিটেমাটির সাদা বালু ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। সূত্র জানায়, পাঁচ বছরেও ফোর লেন সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ধুলার যন্ত্রণায় পোহাতে হচ্ছে মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীসহ আশপাশের মানুষ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ ও বাতাস। সড়কের দুই পাশের অফিস, দোকানপাটসহ ঘরবাড়ি ধুলোয় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করছেন এই ব্যস্ত মহাসড়কে। এমন সড়কে ধুলোবালিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ করে তুলছে। অতিরিক্ত ধুুলার কারণে এলার্জি, কাশি শ্বাসকষ্টসহ বাড়ছে রোগবালাই। জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়ক এটি। দেখলে বোঝাই যায় না এটি নোয়াখালীর প্রাচীনতম শহর মাইজদী। জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ১৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে চৌমুহনী-মাইজদী-সোনাপুর সড়ককে দুই থেকে চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ চলায় ভোগান্তিতে রয়েছেন মানুষ। এর মধ্যে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে। এখনো সড়কের কাজ শেষ হয়নি। ভুক্তভোগীরা জানান, রাস্তা দিয়ে চলার সময় আমাদের অনেক কষ্ট হয়। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটির কাজ শেষ করা হোক। তাহলে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারব। নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, বেগমগঞ্জ-মাইজদী-সোনাপুর চার লেন সড়কের কাজ প্রায় ৭৩ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সকাল-বিকাল দুবার করে রাস্তায় পানি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে যাতে ধুলাবালির কারণে মানুষের চলাচল করতে সমস্যা না হয়। কণার সঙ্গে সাদা বালু মিশিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই। ধুলা-বালুর কারণে দ্রুত কাজ করতে হচ্ছে। রাস্তার কাজ শেষ করার পর ড্রেনসহ বাকি কাজ করবেন বলে জানান তিনি।