শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

৫০ গ্রামবাসীর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে

দিনাজপুর প্রতিনিধি

৫০ গ্রামবাসীর চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে দারিয়া গ্রামে একটি বিলের ওপর ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছেন ৫০ গ্রামের মানুষ। নবাবগঞ্জের সঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সংযোগ সড়কে একমাত্র সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিনিয়তই হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। ৫৫ বছর আগে নির্মিত প্রাচীন এ সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। দারিয়াসহ ৫০ গ্রামের মানুষের দাবি সেতুটি ভেঙে ফেলে নতুন সেতু নির্মাণের। দীর্ঘদিন ধরে এ দাবি জানানো হলেও এখনো কর্তৃপক্ষের নজরে আসেনি ঝুঁকিপূর্ণ এ সেতুটি। তবে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সেতুটি পরিদর্শন করে মাটি পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। কিন্তু এরপর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, ১৯৬৭-৬৮ অর্থবছরে ওই ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম সলিমুদ্দিন সেতুটি নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সংস্কার না করায় সেতুর বিভিন্ন স্থানে সিমেন্ট ও বালি খুলে পড়ে রড বের হয়েছে, গর্ত হয়েছে এবং একাধিক স্থানে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। এরপরও সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ছোট যানবাহন ও এলাকাবাসী চলাচল করছেন। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে সংযোগস্থল হিসেবে দারিয়া সেতুটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। ওই সেতুটি দিয়ে মাহমুদপুর ইউপির পাঁচ গ্রামের মানুষ ছাড়াও দাউদপুর, ভাদুরিয়া, রানীগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, নবাবগঞ্জ বাংলাহিলি হয়ে জয়পুরহাট, বিরামপুর হয়ে দিনাজপুরসহ এ অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি হবে। ইয়ামিন সরকার, রোকনুজ্জামানসহ চলাচলকারীরা জানান, ব্রিজটির প্রশস্ততা কম থাকায় প্রথম থেকেই বড় ধরনের কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে আশপাশ গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত ধান, পাট, তামাক, সরিষাসহ অন্য জিনিস ছোট ছোট ট্রলি, টেম্পো কিংবা রিকশা-ভ্যানে হাটবাজারে নিতে হয়। বড় ধরনের কোনো যানবাহন উঠলেই সেতুটি কেঁপে ওঠে। সেতুটি পুনর্নির্মাণ হলে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার কয়েক গ্রাম ছাড়াও নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউপির সব গ্রামসহ দাউদপুর ভাদুরিয়া, রানীগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, গোবিন্দগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বিরামপুর হয়ে দিনাজপুরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হবে। নবাবগঞ্জের মাহমুদপুর ইউপির চেয়ারম্যান হাছান মো. সালাহ উদ্দিন মাসুম জানান, ৫৫ বছর আগে নির্মিত হয় এ প্রাচীন সেতুটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি সেতুটি পুনরায় নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর ভোগান্তি দূর হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। আমি সেতুটি পুনরায় নির্মাণের জন্য এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

সর্বশেষ খবর