শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

কমেছে মোটা ও সরু চালের দাম

নওগাঁ প্রতিনিধি

ধান ও চাল উৎপাদনে প্রসিদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় কমেছে মোটা ও সরু চালের দাম। তবে বেড়েছে সুগন্ধি আতপ চালের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মোটা চালের দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর খুচরা বাজারে মোটা ও সরু চালের দাম প্রকারভেদে কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। মোটা চালের দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে। তবে আসন্ন রমজানে বেশি বেশি বিরিয়ানি, পোলাও খেতে চান তাদের জন্য দুঃসংবাদ। প্রতি কেজিতে আতপ চালের দাম বেড়েছে ছয় থেকে সাত টাকা। চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওএমএসসহ বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু থাকায় নওগাঁয় মোকামে গত দুই সপ্তাহ ধরে মোটা চালের বাজার নিম্নমুখী রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে মোটা চাল হিসেবে পরিচিত স্বর্ণা, বিআর-৫১, বিআর-৪৯ চাল ৪৮-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এখন সেই চাল ৪৫-৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে সরু চাল হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল, কাটারিভোগ, রণজিৎ ও পাইজাম চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মোটা ও সরু চালের বাজারে স্বস্তি ফিরলেও লাগামহীন আতপ চালের বাজার। ৫০ কেজির প্রতি বস্তা সুগন্ধি আতপ চালের দাম প্রতি বস্তায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। নওগাঁর চালের মোকাম সদর উপজেলার মিলগেটে প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকায়। গত দুই সপ্তাহ আগে এই চাল ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া সরু চাল হিসেবে পরিচিত নন-শর্টার পাইজাম চালের দাম কেজিতে দুই টাকা কমে ৬১-৬২ টাকা, নন-শর্টার কাটারি ও জিরা চালের দাম কেজিতে এক টাকা কমেছে।

 ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

শর্টার জিরা ও কাটারি চাল বিক্রি হয়েছে ৬৭-৬৮ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি। এ ছাড়া প্রতি কেজি পাইজাম চালের দাম পাইকারিতে দুই থেকে তিন টাকা কমে বর্তমানে ৬৪-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সব ধরনের চালের বাজার নিম্নমুখী হলেও আতপ চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। দুই সপ্তাহ আগেও যে সুগন্ধি আতপ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হতো ১২২ থেকে ১২৪ টাকা কেজি দরে। সেই চাল এখন মিলগেটেই বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পাইকারিতে চালের দাম বাড়া-কমার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। পৌর ক্ষুদ্র চাল বাজারে প্রকারভেদে প্রতি কেজি মোটা ও সরু চালের দাম কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। খুচরা চাল বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কিরণ ট্রেডার্সের মালিক মোহন সরকার বলেন, এবার আমন মৌসুমজুড়েই চালের বাজার স্থিতিশীল ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাস ও বর্তমানে সরকারের ওএমএস-এ চাল বিক্রি অব্যাহত থাকায় বাজারে ভাতের চালের দাম নিম্নমুখী রয়েছে। পাইকারিতে প্রতি বস্তায় চালের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত কমায় খুচরাতেও কম দামে চাল বিক্রি হচ্ছে। নওগাঁ চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, সরকার চালের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য ওএমএসসহ বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু রেখেছে। এ কারণে গত এক মাস ধরেই মোকামে ক্রেতার সংখ্যা কমতে থাকে। মোকামে চাল বিক্রি কমে যাওয়ায় মিলাররা বাজার থেকে ধান বিক্রি কমে দিয়েছে। ফলে বাজারে ধানের দাম প্রতি মনে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কমেছে। এ কারণে পাইকারিতে চালের মোটা ও সরু চালের দাম কমেছে। তবে আতপ চালের জন্য বর্তমানে বাজারে পাওয়া সুগন্ধি ধানের দাম বাড়তির দিকে। তিনি আরও বলেন, দেশের বড় চালের মোকাম নওগাঁ জেলায় ৮০টি স্বয়ংক্রিয় (অটো) চালকল রয়েছে। আর হাস্কিং রাইস মিল রয়েছে ১ হাজার ১৬০টি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর