কিশোরগঞ্জের নিকলীতে আবাসিক হোটেলে তামান্না হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। তামান্নার কথিত স্বামী হুমায়ুন কবীর আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। স্বীকারোক্তিতে হুমায়ুন উল্লেখ করেন, তিনি ও তামান্না দুজনই বিবাহিত। জেলার বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে চাকরি করতেন হুমায়ুন। কোনো এক সময় দেখা-সাক্ষাতের সূত্র ধরে তামান্নার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুজন একসঙ্গে সময় কাটাতে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা নিকলীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা। হুমায়ুন তার স্ত্রীর কাছে মেলায় যাওয়ার কথা বলে গত ২৫ মার্চ প্রেমিকা তামান্নাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নিকলী সদরের হাওর প্যারাডাইস নামক আবাসিক হোটেলের ৬০৯ নম্বর কক্ষে ওঠেন। বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হোটেলকক্ষে হুমায়ুনের সঙ্গে তামান্নার কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে তামান্নাকে হত্যা করেন হুমায়ুন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিকুর রহমানের খাসকামরায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসামি হুমায়ুন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনসুর আলী আরিফ। হুমায়ুন কবীর (২৯) কটিয়াদী উপজেলার চারিপাড়া গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার ছেলে।
তামান্না (২২) কুলিয়ারচর উপজেলার পশ্চিম জগন্নাথপুর গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার কন্যা এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাউনা গ্রামের মোতালিব হোসেনের স্ত্রী। হত্যার পর বুধবার (২৯ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে হুমায়ুন ও হোটেলকর্মী শায়লা আক্তার মিলে তামান্নাকে মুমূর্ষু অবস্থায় নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হুমায়ুনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ হুমায়ুনকে আটক করে। এ ঘটনায় তামান্নার বাবা বাদী হয়ে হুমায়ুনকে আসামি করে নিকলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।