বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আঞ্চলিক সড়ক যেন ‘চাতাল’

ফসল শুকানোয় যান চলাচলে বিঘ্ন॥ ঘটছে দুর্ঘটনা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আঞ্চলিক সড়ক যেন ‘চাতাল’

সড়কে শুকানো হচ্ছে ধান -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কগুলোর বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় ধান, খড়, ভুট্টা শুকানো হচ্ছে। গরমে অতিষ্ঠ হলেও রোদে  বোরো ধান শুকাতে আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়ক ও পকেট সড়কসহ বাড়ির উঠান কিংবা খোলা মাঠে ধূম পড়েছে। ভালো দামের আসায় এই প্রখর রোদে ধান শুকিয়ে নিচ্ছেন কৃষক। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ। ধানের খড় পিচ্ছিল হওয়ায় সামান্য কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা যানবাহন চালকের। এখন বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো ধান-খড়সহ  ফসল শুকানোর চাতালে পরিণত হয়েছে। এতে চাষিরা সাময়িক উপকৃত হলেও বিপাকে পড়েছে চলাচলকারীরা। কেননা ধানের খড় অতি পিচ্ছিল থাকায় সামান্য কারণেই যানবাহন পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে। এমনকি খড়ের ওপর ব্রেক করলেও ব্রেকেরও ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আর এ কারণে এসব সড়কে ছোট ছোট দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটেছে। রাস্তার ওপরে ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই ও খড় শুকানো পুরোদমে শুরু হওয়ায় প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থা দিনাজপুরের খানসামা, চিরিরবন্দর, ফুলবাড়ী, বিরল, বীরগঞ্জ, কাহারোলসহ বিভিন্ন উপজেলার আঞ্চলিক সড়কে। চিরিরবন্দরের বেলতলী বাজার থেকে দেবিগঞ্জ বাজার রাস্তা, বিন্যাকুড়ি বাজার থেকে ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, চিরিরবন্দর থেকে আমতলী বাজার রাস্তা, শান্তির বাজার থেকে কতুবডাঙ্গা উচিতপুর রাস্তাসহ ছোট রাস্তাগুলোয় কৃষকরা বাধাহীনভাবে পাকা রাস্তার ওপরে ধান, খড় শুকানোর কাজ করছে। ভ্যানচালক রশিদুল হক, সিরাজুল ইসলাম ও অটো রিকশাচালক মতিউর রহমান, নুর আলম বলেন, রাস্তার ওপরে ধান-খড় শুকানোয় যাত্রী নিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে। কৃষকসহ তাদের লোকজনরা ঠিকমতো সাইড দিতে চায় না। ফলে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। চিরিরবন্দর রাস্তায় ধান শুকানো কৃষক আব্দুল মতিন ও খাদেমুল ইসলাম বলেন, বাড়িতে ধান মাড়াইয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় এ সময়টাতে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ অন্যায় কাজ করতে হচ্ছে। অনেকে বকাবকি করলেও তা কানে শুনতে হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর