বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বসুন্ধরার কল্যাণে অসহায় রত্না এখন স্কুলশিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বসুন্ধরার কল্যাণে অসহায় রত্না এখন স্কুলশিক্ষক

অসহায় রত্না দেবনাথ এখন স্কুলশিক্ষক। প্রথমবারের মতো পেয়েছেন চাকরির বেতন। বেতন হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত রত্না এখন নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তার চাকরি, বেতন সবই হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের সহযোগিতায়। তারই দিকনির্দেশনায় গড়ে ওঠা শুভসংঘের স্কুলেই শিক্ষকতা করছেন রত্না। বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ঘোলাগাড়ি এলাকার রত্না দেবনাথের ১৯৯৭ সালে বিয়ে হয়। এক বছরের মাথায় তার স্বামী ফনি দেবনাথ অসুস্থ হয়ে মারা যান। এইচএসসি পাস রত্না নিজেকে টিকিয়ে রাখতে একটি বেসরকারি স্কুলে চাকরি নেন। তা দিয়ে সংসারের খরচ চলত না। ২০১৯ সালে স্কুল বন্ধ হলেও রত্না থেমে থাকেননি। এলাকাবাসীর সহযোগিতা নিয়ে নিজের চেষ্টায় এলাকার শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্ব নেন। এ স্কুলের শিক্ষর্থীর বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবারের। কেউ খুশি হয়ে যা দিয়েছেন সেটা স্কুলের জন্যই খরচ করেছেন। কোনো কোনো অভিভাবক আবার রত্নাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। রত্নার স্কুলের খবর পেয়ে বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রতি বছর ব্যাগ, বই, খাতা, কলম, টিফিন দেওয়া শুরু করে।

 সেই সঙ্গে শিক্ষক রত্না দেবনাথকে বেতন দেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন পর বেতন পেয়ে রত্না আনন্দিত হয়েছেন। কালের কণ্ঠ প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন গত জানুয়ারি মাসে স্কুলটি পরিদর্শন করেন এবং নামকরণ করেন বগুড়া শুভসংঘ স্কুল। এরপর গতকাল সকালে আবার স্কুলটি দেখতে আসেন তিনি। এ সময় ইমদাদুল হক মিলন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষক রত্নার খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন, স্কুলের জন্য জমি ও পাকা ঘর নির্মাণ করা হবে। যেন প্রতিটি শিশু বিনামূল্যে এখানে ভালোভাবে লেখাপড়া করতে পারে। এ জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর