ফরিদপুরের তালমা-জয়বাংলা আঞ্চলিক সড়কের দুই কিলোমিটার খানাখন্দে বেহাল। ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটির ওই দুই কিলোমিটার পড়েছে নগরকান্দা পৌরসভার মধ্যে। পৌরসভার ভিতরের ওই দুই কিলোমিটার বাদে বাকি ১২ কিলোমিটার এবং ঈশরদী সেতু থেকে জয়বাংলা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সংস্কার করায় চলাচলের উপযোগী রয়েছে। মাত্র দুই কিলোমিটারের জন্য পুরো সড়কটি এলাকাবাসীর কাছে দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস, জিপ, অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও ভ্যান। নগরকান্দা মহল্লার বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক জাহিদ হোসেনের বাসার সামনে, নগরকান্দা কলেজের সামনে এবং নগরকান্দা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সবচেয়ে বেশি ভাঙা। এসব জায়গা দিয়ে যানবাহন চলে হেলেদুলে। বৃষ্টি হলে এ অংশের অবস্থা আরও বেহাল হয়ে যায়। নগরকান্দা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এ সড়কের গুরুত্ব বেড়েছে। কয়েকজন ভ্যানচালক বলেন, রাস্তাটুকু প্রায় দুই বছর ধরে এ অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কারও নজর নেই। এতে ঝামেলায় আছি আমরা। সড়কে গাড়ি চালানোর পর কোমর, বুক ব্যথা হয়ে যায় ঝাঁকিতে। নগরকান্দা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র সোহেল রানা বলেন, বৃষ্টি হলে এ রাস্তা কাঁদামাটিতে ভরে যায়। তখন কাঁদায় গাড়ির চাকা আটকে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বৃষ্টি না থাকলেও রাস্তার পিচ ও ইট ওঠে গিয়ে মাটি বের হয়ে যাওয়ায় ধুলায় অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। তখন বেশি ঝামেলায় পড়ে পথচারী, অটোরিকশা, ভ্যান ও পণ্যবাহী নসিমন। নগরকান্দা পৌর মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার বলেন, সড়কটি সংস্কার করার খরচ বহনের সক্ষমতা পৌরসভার নেই। কোনো ফান্ডও বরাদ্দ নেই। পৌর সভার বাইরের বাকি ১৭ কিলোমিটার এলজিইডি নিয়মিত সংস্কার করে। পৌরসভার এ অংশে তাদের হাত দেওয়ার অধিকার নেই।
যেহেতু নগরকান্দা পৌরসভা আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়, সেজন্য আমি এলজিইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের পরামর্শমত অনাপত্তিপত্রও দিয়েছি। নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ আঞ্চলিক সড়কের ওই দুই কিলোমিটার পৌরসভার মধ্যে পড়ায় আমাদের পক্ষে সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভা আমাদের কাছে কাজটি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। আমরা সড়কের জরিপ সম্পন্ন করেছি। একটি প্রকল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে এ কাজ করতে হবে। সেজন্য আপাতত কাজ শুরু করা সম্ভব নয়।