পটুয়াখালীতে ঠান্ডাজনিত রোগে বেড়েছে শিশু রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে নিউমোনিয়া, ব্রোঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গতকাল পর্যন্ত শতাধিক শিশু রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এখানে ভর্তি ছিল। এক বেডে দুই শিশু, এমনকি কোনো কোনো বেডে তিন শিশুকে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বেড সংকটে স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪০টি বেড নির্ধারিত আছে। বর্তমানে এ ওয়ার্ডে ৯৬ শিশু ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। তিন দিনে ছয় শিশু ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। ভর্তি হয়েছে ২০ শিশু। এ ছাড়া পেয়িং ওয়ার্ডের ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে পাঁচ শিশু। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নতুন নতুন রোগী আসছে হাসপাতালে। নিউমোনিয়া, ব্রোঙ্কাইটিস, অ্যাজমা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছে বেশির ভাগ শিশু। শয্যা সংকট হওয়ায় একই বেডে দুজন এমনকি তিনজন শিশুকে এক সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা। এতে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শিশুর স্বজনরা। শিশুর স্বজনদের অভিযোগ, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়েছে কিন্তু শয্যা সংখ্যা বাড়েনি। শিশুদের চিকিৎসাসেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। শিশুর মা পুকুরজনা এলাকার সুমি আক্তার বলেন, ছয় মাসের শিশু রুকাইয়া তিন দিন ধরে ঠান্ডা, কাশি, বমি নিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছে। রোগীর চেয়ে বিছানা অনেক কম থাকায় কষ্ট হচ্ছে। তিন মাস বয়সী রাইয়ানের মা জানান, তার ছোট্ট শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে ভর্তি করা হয়। তার সঙ্গে আড়াই বছরের রাহেলাও রয়েছে। কিন্তু ভয় হয় যদি সুস্থ শিশুটিও অসুস্থ হয়ে পড়ে। শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সরা জানান, শীত মৌসুমে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। বর্তমানে দিনে গরম ও রাতে শীত তাই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। এ মৌসুমে শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। পর্যাপ্ত বেড ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি কম থাকায় চিকিৎসাসেবা দিতে একটু হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার পরও নির্ধারিত বেডেই ভাগ করে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যাতে শিশুদের কষ্ট না হয়। একাধিক শিশু বেডে দেওয়া হলেও আমরা তাদের অভিভাবকদের সব সময় সচেতন করছি। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ শীতে নিউমোনিয়া, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগী বেশি আসছে। বয়স্কদের তুলনায় শিশু রোগী বেশি। এসব রোগ এড়িয়ে চলতে সব সময় মাস্ক পরতে হবে। শিশুদের শীতের পোশাক পড়িয়ে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। শিশুদের রোগ নির্ণয়ের পর এক এক শিশুর জন্য আলাদা আলাদা বেডে রাখতে হবে। একই রোগী একটি বিছানায় দিতে হবে। আমরা সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নতুন ৫০০ শয্যার কার্যক্রম চালু হলে বেডের সংকট কমবে। বর্তমানে শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটু কষ্ট হলেও আমরা সেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করছি। শিশুদের চিকিৎসাসেবা যথাসাধ্য চালিয়ে যাচ্ছেন আমাদের চিকিৎসক ও নার্সরা।
শিরোনাম
- রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
- ইউরোপীয় সামরিক জোটে অংশীদারের মর্যাদা পেল ইউক্রেন
- ‘আমজনতার দল’ শীর্ষ দশে না থাকলে রাজনীতি ছাড়বেন তারেক
- ট্রাম্পের হুমকি ‘অনিবার্য’ : মামদানি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত
- বাংলাদেশে পুলিশ সংস্কারে সহায়তার প্রস্তাব আয়ারল্যান্ডের
- ভোকেশনাল সমাপনী পরীক্ষা নিয়ে ডিএমপির জরুরি নির্দেশনা
- দক্ষ জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ সহযোগিতা বাড়াবে বাংলাদেশ-জাপান
- এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি মির্জা ফখরুলের
- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বাঁধন ১০ দিনের রিমান্ডে
- গণসংযোগকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ
- ‘বিএনপির কাছে ২০ আসন চাওয়ার’ বিভ্রান্তিকর সংবাদে এনসিপির প্রতিবাদ
- নতুনবাজার-রামপুরা ব্রিজ-কাকলী পর্যন্ত কাল থেকে যানজটের শঙ্কা
- সিআরআইয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ : জয়-পুতুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক
- র্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা অবস্থানে তানজিদ
- বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য ভোট চাইলেন ভিপি সাইফুল
- খালেদা জিয়া আমাদের মনোবল-সাহস: এ্যানি
- স্ত্রীসহ অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সেলিম মাহমুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- সরাইলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
- বগুড়ায় অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার
ঠান্ডা রোগে হাসপাতালে শতাধিক শিশু
এক শয্যায় ২-৩ জনকে রেখে চিকিৎসা
সঞ্জয় দাস লিটু, পটুয়াখালী
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর