মাত্র তিন মেডিক্যাল অফিসার দিয়ে চিকিৎসাসেবা চলছে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যাদের একজন ক্ষেতলালের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক। হাসপাতালে জুনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১১টি পদের ৯টিই খালি আছে দীর্ঘদিন ধরে। তাই হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, ইএনটি, চক্ষু, অর্থপেডিক, চর্ম ও যৌন এবং কার্ডিওলজি বিভাগে জুনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ খালি আছে। শুধু গাইনি এবং এনেসথেশিয়া বিভাগে জুনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন দুজন চিকিৎসক। এ ছাড়া ডা. রিমন আফরোজ নামে একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে যোগদান করলেও কোনো ছুটি না নিয়ে তিনি ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত আছেন। বিষয়টি সুরাহার জন্য হাসপাতাল থেকে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে একাধিকবার চিঠি দিয়েও কোনো নির্দেশনা না আসায় সেই থেকে ওই পদে নিয়োগ বন্ধ আছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যার ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিক্যাল অফিসারের অনুমোদিত সাতটি পদের বিপরীতে খাতা-কলমে কর্মরত আছেন পাঁচজন। যার মধ্যে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ প্রেষণে বরিশালের বাকেরগঞ্জে কর্মরত আছেন। দুজন মেডিকেল অফিসার আছেন বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢাকা এবং বগুড়ায়। উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে নেওয়া একজন মেডিকেল অফিসার এখানে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তবিভাগে প্রায় ৫০০ রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এ হাসপাতালে যোগদান করা অধিকাংশ কর্মচারীদেরও প্রেষণে অন্যত্র পাঠানোয় বিড়ম্বনা বেড়েছে সেবা নিতে আসা রোগীদের। সংশ্লিষ্টরা জানান, হাসপাতালের কাশিয়ারকে প্রেষণে পাশের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর হেলথ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। জয়পুরহাট ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট পদে প্রেষণে পাঠানো হয়েছে ক্ষেতলাল হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট লুৎফর রহমানকে। সেই থেকে ক্ষেতলাল হাসপাতালে রোগীরা এক্সরে সেবা থেকে বঞ্চিত আছেন। সুইপারের পাঁচটি অনুমোদিত পদের বিপরীতে দুজন কর্মরত। এর মধ্যে একজনকে প্রেষণে গোপীনাথপুর হেলথ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। কুক-মশালচীর দুটি পদই ফাঁকা আছে দীর্ঘদিন থেকে। হাসপাতালের স্টোরকিপারের পদ ফাঁকা। ২২ বছর ধরে ওইপদে দায়িত্ব পালন করছেন ফার্মাসিস্ট।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আতিকুর রহমান বলেন, ডাক্তার সংকটের কারণে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ৮০-৯০ জন। বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা গড়ে তিন থেকে সাড়ে শ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শেখ হাসিবুর রেজা বলেন, সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে দেড়মাসে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চারবার চিঠি দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো উত্তর মেলেনি।
শিরোনাম
- ৫ দিনের রিমান্ডে ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রধান নেতা মাহফুজ
- সুন্দরগঞ্জে মোটরসাইকেল-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১
- দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যাবজ্জীবন সাজা
- চট্টগ্রামসহ পাঁচ জেলায় ২০ জুলাই পরিবহণ ধর্মঘট
- ফেসবুক ও মোবাইল ব্যাংকিং হ্যাক করে চলত প্রতারণা, গ্রেফতার ৪
- শিক্ষার্থী সেবায় বাউবির সমন্বিত পরিকল্পনা
- ভালুকায় মা ও দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা: গ্রেফতার দেবর নজরুল
- নির্বাচন ঠেকানোর জন্য ষড়যন্ত্র হচ্ছে : টুকু
- জুলাইয়ে নারীদের সাহসী উত্থান উদযাপনে ঢাকায় মশাল মিছিল
- বাংলাদেশিদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেবে মালয়েশিয়া
- মালয়েশিয়ায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ১১
- নীতি সুদহার কমিয়ে ৮ শতাংশ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- ঢামেক হাসপাতালের সামনে থেকে দুই দালাল আটক
- ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা: আসামি মহিন দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে
- সরকারি হলো আরও এক বিদ্যালয়
- মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ
- বিএনপি সংঘাতের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না : প্রিন্স
- পদত্যাগ করলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী
- ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ রাজ্যের মামলা
- মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক
তিন চিকিৎসকে চলছে হাসপাতাল
জুনিয়র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ১১টি পদের ৯টিই খালি, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর