ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মবিরতির কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। এতে আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে ভারতগামী প্রায় ১০০ যাত্রী আটকা পড়ে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
তবে বেলা ১টার দিকে ভারতীয় নাগরিক এবং চিকিৎসাজনিত জরুরি কাজে যাওয়া যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করে পাঠানো হয়। তবে ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসার যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কুমিল্লা থেকে আসা জান্নাত বেগম বলেন, আমার স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য ভারতে যাব। বিকাল ৪টায় বিমানে ওঠার কথা। সেজন্য সকাল ৯টায় আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে আসি। আমাদেরকে বারবার অপেক্ষার জন্য বলা হয়। এতে আমাদের সময় যেমন নষ্ট হয়েছে, তেমনি দুর্ভোগও পোহাতে হয়েছে। কুমিল্লার ফরিদ উদ্দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তিনি জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে গাড়ি ভাড়া দ্বিগুণ দিয়ে সকাল ১০টায় ইমিগ্রেশনে এসে জানতে পারেন পুলিশের কর্মবিরতি চলছে। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে এখন তিনি বিপাকে পড়েন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো. খায়রুল আলম জানান, বেলা ১টার পর ভারতীয় নাগরিক এবং চিকিৎসাজনিত জরুরি কাজে যাওয়া যাত্রীদের পাঠানো হয়েছে। এখন আর কোনো যাত্রী আটকা নেই। তবে বাংলাদেশি যাত্রীদের মধ্যে শুধু গুরুতর অসুস্থ মেডিকেল ভিসাধারী যাত্রীদের ভারত গমনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসার যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশের বিতর্কিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের আশ্বাস পাওয়া গেলে আমরা আমাদের কর্মবিরতি পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেব।