বগুড়ায় বিএনপির ঘরে হাওয়া লেগেছে। যেন ক্ষত থেকে সেরে উঠছে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো। মামলায় নুয়ে পড়া আর পালিয়ে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফিরে আসায় শক্তি বেড়েছে বিএনপির। বিএনপির দুর্গটি আবারও ধানের শীষের মতো করেই উজ্জ্বল হাসি ছড়িয়েছে। সাংগঠনিক ইউনিট গোছানো শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত শক্তিশালী করার বিষয়ে কার্যক্রম চলছে। বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দেশ গঠনে বগুড়া জেলা বিএনপি আবারও পূর্ণরূপে ফিরে এসেছে। জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের পর থেকে জেলায় নির্যাতনের শিকার বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো মাঠে নেমেছে। এতদিন যারা জনসম্মুখে কোনো মিছিল-মিটিং করতে পারেননি, তারা এখন রাজপথে দেশের সেবার জন্য নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করেছেন। জেলা বিএনপির কার্যালয় এখন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দলীয় নেতাদের দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাদের পদচারণে মুখিয়ে আছে জেলা কার্যালয়। বগুড়া জেলা বিএনপির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন এবং মামলার মুখে বা ভয়ে অনেকেই দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে পারতেন না। বিএনপি নেতারা জানান, মামলার শিকার হয়ে অনেক নেতা-কর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকেই পরিবার ও সংগঠন থেকে দূরে ছিলেন। শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন জানান, আওয়ামী সরকার দেশকে নষ্ট করার পাশাপাশি বিএনপিকে উৎখাত করার অপচেষ্টা করেছিল। কিন্তু বিএনপির পতাকাতলে যারা ঐক্যবদ্ধ তাদের নামে মামলা হামলা করেও দমাতে পারেনি। এবার দেশ গঠনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অবদান রাখবেন। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল ওহাব জানান, মাঠে রাজনীতির যুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার থেকেছে। আগামীতেও থাকবে। বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন জানান, আমরা সবাই জিয়ার সৈনিক ছিলাম, আছি এবং থাকব। মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হেনস্তা করতে পারে কিন্তু নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসব রোমহর্ষক নির্যাতনের কথাগুলো ভুলে যাইনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি তিনি দেশ গঠনেও কাজ করার কথা বলে দিয়েছেন। বগুড়ায় বিএনপি সবসময় শক্তিশালী হয়ে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।