প্রতিনিয়ত ঝুঁকি থাকলেও দিনাজপুরের কাহারোলের আশ্রম ঘাট এলাকায় ঢেপা নদী পারাপারে একমাত্র মাধ্যম ‘বাঁশের সাঁকো’। এ সাঁকো দিয়ে নদী পার হতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কাহারোলের ১০টি গ্রামের মানুষ। বেশি দুর্ভোগে পড়ে বর্ষার সময়। এখান দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। পার হতে টাকাও দিতে হয়। ঢেপা নদীর এ আশ্রম ঘাটে সেতু নির্মাণে দীর্ঘদিনের দাবি ওইসব গ্রামবাসীর। এখানে সেতু নির্মাণে অনেক নেতাই অনেক বার আশার বাণি শুনিয়েছেন; কিন্তু বাস্তবে কাজ হয় নাই অভিযোগ স্থানীয়দের। অথচ এই ঢেপা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে আশপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে। তেমনি শক্তিশালী হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে দিনাজপুরের দশ মাইল থেকে ঢেপা নদীর পূর্ব পাশ এবং নদীর পশ্চিম পাশে কাহারোল বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মিত হলেও আজও হয়নি সেতু। সেতু না হওয়ায় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অর্থের বিনিময়ে এই বাঁশের সাঁকোটি পার হতে হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা বলছেন, দিনাজপুরের কাহারোলের রামচন্দ্রপুর ইউপির ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঢেপা নদীর এ আশ্রম ঘাটে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করছেন। প্রতিদিন বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গর্ভবতী মহিলা, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রোগীদের এ সাঁকোর ওপর দিয়ে পারাপার করা যেমন ভীতিকর, তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরেও এই সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যানও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে। কাহারোলের রামচন্দ্রপুর, সুন্দরপুর, সুন্দরবন, আজিমপুর, রাজরামপুর, তারগাঁওসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এই সাঁকো দিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। পরমেশ্বরীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র প্রথম শ্রেণিতে পড়া তুহিন বলে, একা স্কুলে যাওয়ার সময় বাঁশের সাঁকো দিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই একা স্কুলে যেতে ভয় লাগে। স্থানীয় ইটভাটা শ্রমিক সদরু রায়, সুকুমার বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বাররা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেক নেতাই অনেকবার সেতু নির্মাণে আশার বাণি শুনিয়েছেন কিন্তু বাস্তবে কাজ হয় নাই। রামচন্দ্রপুর ইউপির স্থানীয় মেম্বার নাসিমা বেগম জানান, সেতুটি হবে হবে শুনে আসছি। কিন্তু এখনো হয় নাই।
শুনেছি একবার এলাকায় মাটি পরীক্ষা করেছে।