বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের ছররা গুলিতে এক চোখ হারিয়েছিলেন গাজী সালাউদ্দিন। অন্য চোখেও ঝাপসা দেখতেন। গলায়ও একাধিক গুলি লেগেছিল। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন গলায় গুলির স্প্লিন্টার শ্বাসনালি ছুঁয়ে আছে, এটি বের করা দুঃসাধ্য। রবিবার রাতে শরীরে স্প্লিন্টার নিয়েই সালাউদ্দিন চলে গেলেন না-ফেরার দেশে। সালাউদ্দিনের ছেলে আমির ফয়সাল রাতুল বলেন, ‘চোখ ছাড়াও বাবার সারা মুখে, গলায় ও হাতে গুলি লেগেছিল। গলার স্প্লিন্টার বের করা সম্ভব হয়নি। ডাক্তার তাঁকে কথা বলতেই নিষেধ করেছিলেন। কয়েক দিন কাশির সঙ্গে রক্ত বেরিয়েছিল। রবিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ৭টার দিকে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়।’
সালাউদ্দিনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গেজেটভুক্ত অতিগুরুতর আহতের তালিকার ১৩২ নম্বরে ছিল তাঁর নাম। গোদনাইল বাজারে গতকাল জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্তানে তাঁকে দাফন করা হয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা।