এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রবিবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বাজারে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া গুলিতে ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় এএসআইসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শৈলকুপা উপজেলার আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধার সঙ্গে একই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অপর আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ মোল্লার মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আসন্ন ইউপি নির্বাচন ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় দু'গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে হাটফাজিলপুর ক্যাম্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে।
একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের সুমন, জাকির, পলাশ ও রিপন গুলিবিদ্ধ হন এবং সংঘর্ষকারীদের ছোড়া ইটের আঘাতে এএসআই ডাবলু, পুলিশ সদস্য হুমায়ন ও শওকত আহত হন। তাদেরকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি তোজাম্মেল হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার মৃধা অভিযোগ করেন, ''আমার প্রতিপক্ষ জন সমর্থন হারিয়ে এখন শূন্য অবস্থানে রয়েছেন। তিনি আমার জনপ্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাটফাজিলপুর ক্যাম্প পুলিশ ইনচার্জ জামিরুল ইসলামের সহযোগীতায় বিনা কারণে আমার সমর্থিত নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়েছেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।''
এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ মোল্লা বলেন, ''মুক্তার মৃধাই জনসমর্থন হারিয়ে ক্ষেপে গিয়ে আমার উপর আক্রমনের চেষ্টা চালায়। এসময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে।''
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ