রংপুরে জাপানের নাগরিক হোসি কুনিও হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া জেএমবির সামরিক শাখার নেতা এছাহাক আলী রংপুরের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবাবনবন্দি দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় দেওয়া জবানবন্দিতে এছাহাক রংপুরের কাউনিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছেন।
রংপুর জেলার সরকারি আইন কর্মকর্তা (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আলমের আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রংপুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এছাহাক আলী জানিয়েছেন, হোসি কুনিও ও রহমত আলীকে হত্যার ঘটনায় সে সরাসরি জড়িত। সেই সঙ্গে জড়িত অন্যদের নামও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কী কারণে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি হুমায়ুন কবীর জাপানি নাগরিক ও আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার ঘটনাসহ সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।
এর আগে হোসি কুনিও কিলিং মিশনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে জেএমবি নেতা মাসুদ রানা গ্রেফতার হয়। সে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সেখানেই সে এছাহাকের নাম উল্লেখ করে। তার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে এছাহাক আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ