নীলফামারীর সৈয়দপুরে রিক্সা চালক জিয়ারুল হক হত্যা মামলায় দুই ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নীলফামারী অতিরিক্ত দয়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নীলফামারীর অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুল আলম এই রায় প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার শ্বাসকান্দ গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে আব্দুল কাদের (৩০) ও একই উপজেলার বোতলাগাড়ি বালাপাড়া গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে গোলজার হোসেন (৩৫)। এদের মধ্যে গোলজার হোসেন পলাতক রয়েছেন। একই মামলায় অপর তিন আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মালার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলার চিরির বন্দর উপজেলার তেতুলিয়া মন্ডলপাড়া গ্র্রামের ভ্যানচাল জিয়ারুল তার রিক্সাভ্যানে ভাড়ায় দুইজনযাত্রী নিয়ে একই উপজেলার ভুসিরবন্দর থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে আসেন। এরপর থেকে জিয়াররুল নিখোঁজ হলে পরিবারের লোকজন বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে ওই বছরের ২৪ নভেম্বর দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ২০০৮ সালের ২৩ ফেব্রয়ারী সৈয়দপুর থানা পুলিশ সৈয়দপুরের কুন্দল পুরাতন ঈদগাঁ মাঠ সংলগ্ন খড়খড়িয়া নদীর পাড় থেকে একটি গলিত লাশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ভ্যানচালক জিয়ারুলের বাবা প্রতিম উদ্দীনসহ পরিবারের সদস্যরা পরনের কাপড় দেখে লাশ সনাক্ত করেন। এঘটনায় ওই দিন দুপুরেই হত্যার শিকার জিকরুল হকের বাবা প্রতিম উদ্দীন অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শেষে তিন নারীসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দাখিল করেন।
মামলার দীর্ঘ শুনানীতে আব্দুল কাদের ও গোলজার হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত দণ্ডবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আব্দুল কাদের ও গোরজার হোসেনকে যাবজ্জবীন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডাদেশ ও অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এছাড়াও ওই মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী শাপলা বেগম (২৭) ও তার মা অহিমা বিবি (৬০) এবং অপর সাজাপ্রাপ্ত গোলজারের স্ত্রী মোসলে বুড়িকে (৩০) বেকসুর খালাস প্রদান করে আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন