নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের শিকার হয়ে আদালতে মামলা করায় এক গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে বেঁধে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত যুবলীগ কর্মী কেফায়েত উল্যাহর ভয়ে ভুক্তভোগী ভূমিহীন পরিবারটি এখন বাড়িছাড়া। এই ঘটনার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে এলাকাবাসী।
জানা যায়, সুবর্নচর উপজেলার চর মজিদ গ্রামের এক গৃহবধূকে তার সন্তানদের সামনে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় যুবলীগ নেতা কেফায়েত উল্যাহর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত কেফায়েত ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এসে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে পাশের গ্রামে তুলে নিয়ে মারধর করে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কেফায়েতের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণ ও নিরীহ ভূমিহীনদের জমিজমা দখলসহ এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। তাকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন ভুক্তভোগী লোকজন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, গত ৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং তারিখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ১৬ই জানুয়ারী ২০১৬ ইং তারিখে গৃহবধূ নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযুক্ত কেফায়েত ক্ষিপ্ত হয়ে ১৯ জানুয়ারী তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং বেঁধে রাখে। পরে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উল্টো ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর চরিত্র নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেন অভিযুক্ত কেফায়েত উল্যাহ। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ ব্যপারে সুবর্ণচরের স্টিমারঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মদ জানান, এক গৃহবূকে ধারধর করে আটকে রাখার খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে, এনিয়ে পুলিশের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৬ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন