পাবনা শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লার এক বাসা থেকে আকতারুজ্জামানের (৩৫) নামের এক যুবকের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তার দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই রাহিদুজ্জামান রাহেদকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আকতারুজ্জামান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পাইকপাড়ার নান্দিয়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। সে গাজী পাম্পে বিক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে পাবনায় কর্মরত ছিল। পাবনা শহরের কৃষ্ণপুরের একটি ৫ তলা বাড়ির নীচ তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। ওই বাসা থেকেই মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অন্যদিকে, আটককৃত রাহেদুজ্জামান কুষ্টিয়ার মীরপুর থানার নান্দিয়া পাইকপাড়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আখতারুজ্জামান পাবনায় গাজী পাম্পে চাকুরীর সুবাদে শহরের কৃষ্ণপুর মহল্লার জামিল হোসেনের বাসায় তার এলাকার চাচাতো ভাই রাহেদুজ্জামানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার সারাদিন তার কোন খোঁজ না পেয়ে গাজী পাম্প পাবনা অফিসের লোকজন পুলিশকে খবর দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার রুমমেট চাচাতো ভাই রাশিদুজ্জামানকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই বাসা থেকে দিবাগত ১১টার দিকে আকতারুজ্জামানের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গাজী পাম্পের টেরিটোরি সেলস ম্যানেজার সবুজ মিয়া বলেন, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি। পরে দুপুর পর্যন্ত তার খোজ না পেয়ে আবারো তার খোঁজ নিতে তার বাসায় গেলে তার রুমমেট রাহেদ আমাকে জানায় সে গ্রামের বাড়িতে জরুরি কাজে গেছে। পরে তার বাড়িতে খোঁজ নিয়ে না পেয়ে আবার তার বাসায় গেলে রুমমেট পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করলে রাহেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে হত্যার কথা স্বীকার করে।
বিডি-প্রতিদিন/০৪ মে, ২০১৬/মাহবুব