লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কেনা ইট, সিমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল স্কুলঘর থেকে জোর করে নিয়ে গেছে প্রভাবশালী একটি মহল।
এঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাতীবান্ধায় থানায় অভিযোগ দিলেও বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তা নথিভুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে হাতীবান্ধা উপজেলায় বেশ কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার ভেলাগুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ইট, সিমান্ট, রডসহ বিভিন্ন মালামাল কিনে স্কুলঘরে রাখা হয়। তবে জায়গা সমস্যার কারণে সোমবার স্কুলের সীমানা প্রাচীরের সামান্য অংশ ভেঙে সেখানে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করে রাজমিস্ত্রীরা। এ অবস্থায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান মজিসহ ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মী তাতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য কেনা মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ স্কুল শিক্ষকদের।
ভেলাগুড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার বেলা ১১ টার দিকে স্কুলের ওই শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করছিল মিস্ত্রিরা। এমন সময় মজি মেম্বরসহ কয়েকজন লোক এসে তাদেরকে না জানিয়ে কাজ শুরু করার জন্য গালমন্দ করেন। পরে তারা জোর করে স্কুল ঘরে থাকা ইট, সীমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান বলেন, ‘স্কুলের দেয়াল ভেঙে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করায় দলীয় (আ'লীগের) লোকজন প্রথমে তাতে বাধা দেয়। পরে আমি গিয়ে ৮৫ টি ইট, হাফ বস্তা খোয়া ও ১০ টি ভাঙা ইট নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে রেখেছি।'
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা প্রথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,, ‘বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান দেখতে চেয়েছেন। তাই কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন